যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর গাজায় ৫০০ শিশু হত্যা করেছে ইসরায়েল
Published: 12th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা থামছে না। যুদ্ধবিরতি ভেঙেও হামলা চলছে। ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ থেকে বাদ পড়ছে না শিশুরাও। গাজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০০ শিশু নিহত হয়েছে।
গাজার স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৫১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত সোয়া ১ লাখ মানুষ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি শিশু রয়েছে বলে চলতি মাসের শুরুর দিকে জানিয়েছিল জাতিসংঘ শিশু তহবিল—ইউনিসেফ। আহত হয়েছে ৩৪ হাজারের বেশি শিশু।
গাজায় চলমান নৃশংসতার মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরে সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে ১৮ মার্চ আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবার গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে গাজায় অন্তত ৫০০ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এই সময়ে নিহত মোট ফিলিস্তিনির সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি।
শনিবারও গাজার বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। উত্তর গাজার তুফা, মধ্য গাজার বেইত লাহিয়া এবং দক্ষিণে খান ইউনিসের কিজান আন-নাজ্জার ও আল মাওয়াসি এলাকায় আকাশপথে হামলা হয়েছে। এতে এক নবজাতকসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বেত লাহিয়ায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ওই শিশুর একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় তার।
গাজা নগরীর উপকণ্ঠে শুজাইয়া এলাকা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রাণ বাঁচাতে অসহায় শিশুদের নিয়ে পালাচ্ছেন এক ফিলিস্তিনি নারী। বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।
উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।
ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।
এএএম//