নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ইপিজেডের নিরাপত্তা পরিদর্শক মুনসুর হাওলাদার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও আড়াই শ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে ইপিজেডে অনধিকার প্রবেশ, হামলা, ভাঙচুর ও নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল শনিবারের ওই ঘটনায় আটক ৪৬ জনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে ৩৯ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো.

হাসিনুজ্জামান।

মো. হাসিনুজ্জামান বলেন, ‘হামলাকারী ব্যক্তিরা বিভিন্ন এলাকার। এই হামলার পেছনে তাঁদের অসৎ কোনো উদ্দেশ্যে ছিল কি না, তাঁদের কেউ ব্যবহার করেছে কি না, সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম খান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, সাতজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে তোলা হয়েছে। সেখানে শুনানি শেষ হয়েছে, আদালতের আদেশের অপেক্ষায় রয়েছে।

আরও পড়ুনসিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে তিনটি পোশাক কারখানায় ভাঙচুর, আটক ৪৩১৯ ঘণ্টা আগে

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে গ্রেপ্তার ৪৬ আসামিসহ অন্যরা আদমজী ইপিজেডের ভেতরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের ছুটি দেওয়ার দাবিতে ইপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, ইউনিস্ক বিডি লিমিটেড, সিম্মা ইউনিট-২–এ হামলা ও ভাঙচুর করেন। তাঁরা কারখানার ভেতর থেকে শ্রমিকদের বের করার চেষ্টা করেন। কারখানাগুলোর প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় ভেতরে ঢুকতে না পেরে কারখানার প্রধান ফটক লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে আসামিরা অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেড কারখানায় হামলা করে মেইন ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করেন এবং নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন। কারখানা বন্ধ না করলে কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আসামিরা অনন্ত হুয়াজিং কারখানার সিকিউরিটি গার্ডরুমের ভেতরে ও কারখানার সামনের জানালার থাই গ্লাস ভাঙচুর করেন। তাঁরা কারখানার সামনে থাকা দুটি কাভার্ড ভ্যান, একটি টয়োটা প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি করেন। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার হাউস সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে সংবাদ দিলে যৌথ বাহিনীর সহায়তায় আটক ব্যক্তিদের থানায় আনা হয়।

উল্লেখ্য, গতকাল বিকেলে ‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিলে যোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আদমজী ইপিজেডের ভেতরে প্রবেশ করেন বহিরাগত কয়েক শ লোক। তাঁরা ইপিজেডের ভেতরে বেশ কয়েকটি কারখানা ও চার–পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ র কর ন প রব শ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।

আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।

রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।

কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।

গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।

আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ