জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ৪০ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে নিয়ে গেছে সরকার। এবার উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও ৬০ জনকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

রোববার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, আহত ৮ জনকে ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে। আর ২১ জনকে তুরস্কে ও ৩১ জনকে পাকিস্তানে পাঠানো হবে।

পাকিস্তানে রোগী পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, কারণ ওখানে মাইন বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসার জন্য বিষেশায়িত হাসপাতাল আছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক দলের বিশেষজ্ঞ দল এ তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই যোদ্ধারা হেলথ কার্ড দেখিয়ে সারাদেশের সব হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণঅভ য ত থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৩৫ দিনে হিলি বন্দরে ১ লাখ মেট্রিকটন চাল আমদানি

গত ৩৫ দিনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে দুই হাজার ২৪টি ভারতীয় ট্রাকে করে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দেশের চালের বাজারে। খুচরা বাজারে কেজি প্রতি চালের দাম কমেছে প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর ঘুরে জানা যায়, দেশের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত ২ শতাংশ শুল্কে ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। 

প্রতি টন চাল ৫২০ থেকে ৫৩০ ডলার, কিছু ক্ষেত্রে ৫৪০ ডলার মূল্যে আমদানি হচ্ছে। এসময় সবচেয়ে বেশি আসছে শম্পা কাটারি জাতের চাল।

হিলির খুচরা ব্যবসায়ী স্বপন পাল বলেন, “ভারত থেকে চাল আসায় বাজারের অস্থিরতা কমছে। প্রতিটি জাতের চাল কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা করে কমেছে। ৫৫ টাকা কেজি দরের মোটা চাল বিক্রি করছি ৫১ থেকে ৫২ টাকা, আবার ৭৪ টাকার শম্পা কাটারি চাল খুচরা বিক্রি করছি ৬৮ কেজি হিসেবে। আশা করছি আগামীতে আরো কমবে।”

আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, “২ শতাংশ শুল্কে আমরা চাল আনছি। ৫২০-৫৪০ ডলার দরে আমদানি হচ্ছে। এতে বাজারে দামের প্রভাব স্পষ্টভাবে পড়ছে।”

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত ১২ আগস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর ৩৫ দিনে ভারত থেকে ২৪২১টি ট্রাকে এক লাখ চার হাজার ৮৫৯ মেট্রিকটন চাল এসেছে। দেশের বাজারে চালের চাহিদা থাকায় দ্রুত খালাস প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হচ্ছে।

ঢাকা/মোসলেম/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ