চৈত্র শেষে বৈশাখ এলো, উঠল বেজে ঢাক… 


বর্ষবরণ
শেখ একেএম জাকারিয়া


চৈত্র শেষে বৈশাখ এলো, উঠল বেজে ঢাক,
আজ আমাদের বর্ষবরণ– পহেলা বৈশাখ।
বৈশাখ এলো ঝড়-বাদলে, ভয়ে কাঁপে বুক,
ঝড়ের পরে আম কুড়াতে লাগে মজার সুখ।
গাঁয়ের মাঠে বসছে মেলা, উঠল বেজে ঢোল,
গাছের শাখায় উঠল হেসে নানা রঙের ফুল।
মেলায় চলে জারি-সারি, আউল-বাউল গান,
নাগরদোলা, পুতুলনাচে জুড়ায় সবার প্রাণ।
কেউবা বাজায় বাঁশের বাঁশি, কেউবা বাজায় শাঁখ,
আজ আমাদের বর্ষবরণ– পহেলা বৈশাখ।

ঢাক বাদকের ঢাক
আকিব শিকদার

ঢাক বাদক!
বাজাও তোমার ঢাক–
বটতলাতে এসেছে বৈশাখ।
 
তোমার ঢাকের সপ্তমধুর তাল
আনুক ডেকে নতুন দিনের শুরু
পুরোনো সব জীর্ণতা আর আবর্জনার পাল
এক নিমেষেই হোক না উরুউরু।

ঢাক বাদক!
রাখ হাতে কাজ–
ঢাক বাজানোর সময় এলো আজ।

ভাবুক সবাই কালবোশেখির কাল
বজ্র বুঝি ডাকছে গুরুগুরু
ঘুমিয়ে যারা রইল চিরকাল
হৃদয় তাদের কাঁপুক থরোথরো।

ঢাক বাদক!
দুঃখের নিপাত যাক–
সুখ সমুদ্রে জোয়ার তুলুক ঢাক।


তোমার প্রতীক্ষায়
জহিরুল হক বিদ্যুৎ


ঝড়-বৃষ্টি এলো বুঝি প্রচণ্ড দমকায়
আকাশে মেঘে মেঘে বিদ্যুৎ চমকায়
চারিদিক গাছপালা হেলেদুলে নড়ছে
বৈশাখ আসছে, বৈশাখ আসছে।
তোমার বরণে তাই প্রতীক্ষার প্রহরে
আনন্দ শোভাযাত্রা হবে গ্রাম-শহরে
চারিদিকে হবে মেলা উৎসুক বাড়ছে
বৈশাখ আসছে, বৈশাখ আসছে।
আমগাছে মুকুলের কী শোভা আহারে
মৌমাছির নাচানাচি ফুলেদের বাহারে
প্রকৃতির এ সম্ভার ফুলে ফলে সাজছে
বৈশাখ আসছে, বৈশাখ আসছে।
লাল-সাদা শাড়ি পরে রমণীরা আসবে
রমনার ওই বটমূলে গানে গানে মাতবে
পান্তা-ইলিশ খাবে সবাই মনটা নাচছে
বৈশাখ আসছে, বৈশাখ আসছে।

 

নতুন দিনে
সাঈদ সাহেদুল ইসলাম

উঠল জেগে সূর্য আগের
আজকে তবু দিন নতুন,
সেই নতুনের শপথ নিয়ে
ভালো কাজে চিহ্ন রাখুন।

লাভ হবে না রাখলে তবে
নতুন জামা অঙ্গে থাক,
হিংসা ও দ্বেষ দূরে রেখে
চিন্তা শুভ সঙ্গে থাক।

আজকে থেকে দেখি যেন
মানুষ-মানুষ দ্বন্দ্ব নেই,
আসব সবাই সবার কাজে
প্রেম-পিরিতির বন্ধনেই।

শুভ পথেই ছুটব আবার
পুষ্পভরা পাইতে ঘ্রাণ,
চাই সে গতি– একই সুরে
হাসিমুখে গাইতে গান।

 

বৈশাখের রৌদ্র দহন
শারমিন নাহার ঝর্ণা

তোমাকে দেখার তৃষ্ণা বড়ই কঠিন যেন
বৈশাখের প্রখর রোদ্র দহন,
হৃদয়ের উঠোনজুড়ে বেদনার মেলা বসেছে
মনের নাগরদোলায় বিষাদগুলো দোল খায়,
মাঝে মধ্যে কিছু দুঃখ রঙিন ঘুড়ি হয়ে
উড়ে যায় সুদূর নীল আকাশে।
আবার বৈশাখী ঝড় হয়ে ফিরে আসে
নির্লিপ্ত এই ছলছল দু’চোখে।
অপেক্ষায় দু’চোখে জাগে বেদনার চড়,
জানি না কবে আলোকিত হবে মনের ঘর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব শ খ উৎসব ব শ খ আসছ ব শ খ এল উঠল ব জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিমন্সের চোখে মিরাজের অসুস্থতা ‘মধুর সমস্যা’

গলের মেঘলা আকাশ আর টানা বৃষ্টির মাঝে বাংলাদেশ টেস্ট দলের প্রস্তুতি শুরু হলো রোববার। শুরুর দিনেই একটি দুশ্চিন্তা—অসুস্থতার কারণে অনুশীলনে ছিলেন না ওয়ানডে অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের চোখে এটি আবার ‘মধুর সমস্যা’।

বাংলাদেশ কোচের মতে, মিরাজের সমস্যা সুযোগ করে দেবে অন্য কারও। তবে মিরাজও যে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটিও জানিয়েছেন সিমন্স। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন মিরাজের সর্বশেষ অবস্থা, ‘গত দুই দিনে সে অনেকটাই ভালো আছে। আমরা দেখব সন্ধ্যায় ওষুধের পর সে কেমন থাকে। আশা করি, কাল অনুশীলন করতে পারবে এবং খেলার জন্য প্রস্তুত থাকবে।’

সিমন্স যোগ করেছেন, ‘এটা (মিরাজের অসুস্থতা) নিশ্চয়ই চিন্তার। তবে একজনের সমস্যা অন্যজনের জন্য সুযোগ এনে দেয়। দলের সবাই চায় মিরাজ সুস্থ হয়ে উঠুক, কিন্তু তারা এ–ও জানে, যদি মিরাজ না-ও খেলতে পারে, তাহলে অন্য কাউকে দায়িত্ব নিতে হবে। এটা সমস্যা, তবে সমস্যাটা মধুর।’

মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবেমেহেদী হাসান মিরাজ

এদিন অনুশীলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে নিয়েও কথা বলেন সিমন্স। ২০১৩ সালে গলে ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকের কাছে বড় কিছু প্রত্যাশা করছেন না কোচ। তাহলে কী চাওয়া সিমন্সের? বাংলাদেশ কোচ বললেন, ‘আমি চাই সে যেন খেলাটা উপভোগ করে। ওই ইনিংস যেমন সে আনন্দ নিয়ে খেলেছিল, এবারও যেন সেটাই করে, তা-ই চাই। মুশফিকের কাছে আলাদা কোনো প্রত্যাশা নেই—সব খেলোয়াড়ের কাছেই আমার চাওয়া একই থাকবে।’

সম্প্রতি ওয়ানডে অধিনায়কত্বে হঠাৎ পরিবর্তন এনে নাজমুল হোসেনের বদলে মিরাজকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। সিমন্স মনে করেন, টেস্টে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব নাজমুলের ওপর পড়বে না, ‘আমি একেবারেই মনে করি না যে এটি ওকে প্রভাবিত করবে। মাঠে নামলে নাজমুল শুধু ক্রিকেট নিয়েই ভাবে, বাইরের বিষয় আমরা দেখি। তাই এটা ওর পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবে না।’

বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ