তরুণীকে দোকানির ধর্ষণ, ভুক্তভোগীর চাচা বললেন, ‘ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কি হবে?’
Published: 14th, April 2025 GMT
নড়াইলের লোহাগড়ায় এক প্রতিবন্ধী তরুণী (২০) ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার ব্রামনডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত উলফাত মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতব্বরা মীমাংসার নামে অভিযুক্তকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, ‘ইজ্জত তো চলেই গেছে, টাকা দিয়ে কি হবে? লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছি না। তাছাড়া ওই সালিশে আমাদের ডাকা হয়নি।’
জানা গেছে , বাকপ্রতিবন্ধী তরুণী রোববার বিকেলে ব্রামনডাঙ্গা বাজারে অভিযুক্ত উলফাতের দোকানে যান কেনাকাটার জন্য। এ সময় দোকানি উলফাত তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানের ভেতর ডেকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী মেয়েটি বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি। তবে বিষয়টি স্থানীয়রা দেখে ফেলেন এবং মেয়ের মাকে খবর দেন। মেয়ের মা ঘটনার সত্যতা পান। তখন বাজারের লোকজন মেয়ের মাকে উপযুক্ত বিচার পাইবে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
অভিযোগ উঠেছে, প্রভাবশালী একটি মহল ভুক্তভোগীর পরিবারকে আইনী পদক্ষেপ না নিতে চাপ দেয় এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। রাতেই অভিযুক্ত উলফাত ও স্থানীয় প্রভাবশালী মাতব্বর কামরুল, লাভলু, নাজির, তাইজেল, জাকির, বোরাকসহ ১০-১২ জন বাজারে বৈঠকে বসেন এবং সবার সম্মতিতে উলফাত মোল্লাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে আপস-মীমাংসার চেষ্টা করেন।
উলফাত মোল্লার ভাতিজি বলেন, ‘আমার চাচা নির্দোষ। তাকে ফাঁসিয়েছেন মাতব্বররা। ২ লাখ টাকা দিয়ে সমাধান করার পরও আমাদের বাড়িতে পুলিশ ও সাংবাদিকরা কেন এল?’
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘উলফাতকে সন্ধ্যায় আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উলফ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।
অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।
দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।
গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি