ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে অপচয়ের প্রকল্প
Published: 16th, April 2025 GMT
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আট জেলায় একটি করে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয় এক থেকে পাঁচ একর পর্যন্ত। তবে এত বেশি জমির প্রয়োজন ছিল না। এতে জমি অধিগ্রহণে বাড়তি খরচ হয়েছে ১৩ কোটি টাকা।
প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর প্রতিটি ছয়তলা ভবন। এগুলো এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ভবনগুলো দোতলা হলেই যথেষ্ট ছিল। এতে বাড়তি ব্যয় হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। প্রশিক্ষক ও জনবল না থাকায় ভবনগুলোর ব্যবহার নিয়েও আছে অনিশ্চয়তা।
আট জেলায় ‘আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (২য় সংশোধনী) প্রকল্পে’ জমি অধিগ্রহণ ও ভবন নির্মাণে এমন বাড়তি খরচের কথা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি। প্রায় ৫৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই আট প্রশিক্ষণকেন্দ্র আগামী জুন মাসে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের কথা।
আরও পড়ুনডিজিটালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়, তবু সূচকে পিছিয়ে বাংলাদেশ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪আইসিটি খাতে গত সাড়ে ১৫ বছরে বহুমাত্রিক লুটতরাজ হয়েছে। বিগত সরকার এ খাতে আকর্ষণীয় স্লোগান ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর কথা বলেছে। বাস্তবে এ খাতে বিপুল বিনিয়োগ কাজে আসেনি। ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবিপ্রকল্প পরিচালক (পিডি) হুমায়ুন কবীর গত ৫ মার্চ প্রথম আলোকে জানান, এক বছর আগে তিনি এ প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়েছেন। কেন এত জমি অধিগ্রহণ করা হলো এবং কেন ছয়তলা করে ভবন নির্মাণ করা হলো, ওই সময় যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা বলতে পারবেন। তবে বাড়তি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে তাঁর চোখে পড়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণের বিষয়ে আরেকটি প্রকল্প নেওয়া হয় ২০২০ সালে। ৮৩৭ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ১৪ জেলায় আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এই প্রকল্পেও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভূমি অধিগ্রহণ ও ভবনে অতিরিক্ত তলা নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রকল্পটিতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ২৫২ কোটি টাকা। অপ্রয়োজনীয় খাতের ব্যয় বাদ দিলে ৭৪ কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব বলে মনে করে তদন্ত কমিটি।
শুধু এ দুই প্রকল্প নয়, জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে (২০০৯-২০২৪ সাল) তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের চলমান ও শেষ হওয়া আরও ১৯টি প্রকল্পে টাকা অপচয়ের বিষয় জানতে পেরেছে তদন্ত কমিটি। কোথাও কেনাকাটায়, কোথাও ওয়েবসাইট তৈরিতে, কোথাও একাডেমি প্রতিষ্ঠার নামে, কোথাও জমি অধিগ্রহণ, কোথাও বা ভবন নির্মাণের নামে বাড়তি খরচ হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আওয়ামী লীগের মেয়াদে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করা হলেও তার সুফল পাওয়া যায়নি। আইসিটি খাতের অগ্রগতির সূচকে বাংলাদেশ সমমানের অর্থনীতির দেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে।
আরও পড়ুনডিজিটালের নামে হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যেভাবে চলেছে ‘লুটপাট’২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে আইসিটি বিভাগের চলমান ও শেষ হওয়া প্রকল্পগুলো মূল্যায়ন করতে গত ২৮ আগস্ট ১২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি বর্তমানে বাণিজ্যসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা প্রতিবেদন আইসিটি বিভাগে জমা দিয়েছেন। এসব প্রকল্পে অসংগতিসহ নানা বিষয় প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
আইসিটি বিভাগের তথ্যমতে, ২১টি প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খরচ হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পাঁচজন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁরা হলেন সৈয়দ আবুল হোসেন, মোস্তফা ফারুক মোহাম্মেদ, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মোস্তাফা জব্বার ও জুনায়েদ আহ্মেদ পলক।
প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে তদন্ত কমিটি দেখতে পেয়েছে, কোনো কোনো প্রকল্পের এমন কার্যক্রম ছিল, যার সঙ্গে প্রকল্পের উদ্দেশ্যের মিল নেই। চলমান প্রকল্পে এসব অপ্রয়োজনীয় খাত বাদ দিতে বলেছে তদন্ত কমিটি। আবার কোনো কোনো প্রকল্পে এমন কিছু কাজ রাখা হয়েছে, যা আইসিটি বিভাগের আওতায় পড়ে না। অপ্রয়োজনীয় সব খাত বাদ দিলে ৬ হাজার ৯৮১ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী গত ৫ মার্চ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রকল্পগুলোতে অনিয়ম থাকায় আমরা তদন্ত প্রতিবেদনটি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠিয়েছি। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি তারা দেখছে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে বেশ কিছু খাতে খরচ কমিয়ে আনার সুপারিশ করেছে। আমরা সে আলোকে কয়েকটি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’
আরও পড়ুনডিজিটাল বাংলাদেশের নামে প্রচুর অর্থ ব্যয়ের সুফল নেই: উপদেষ্টা নাহিদ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪প্রশিক্ষণকেন্দ্র হচ্ছে, প্রশিক্ষক নেই১৪ জেলায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্যোক্তা তৈরি করতে ২০২২ সালে একটি প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এ প্রকল্পের আওতায় ১৪ জেলা সদরে প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকা।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ১৪ জেলা সদরের কথা বলা হলেও পাঁচ উপজেলায় প্রশিক্ষণকেন্দ্র হচ্ছে। উপজেলাগুলো হলো টাঙ্গাইলের মধুপুর, ফেনীর পরশুরাম, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও ঢাকার নবাবগঞ্জ। বাকি ৯টি প্রশিক্ষণকেন্দ্র হচ্ছে জেলা সদরে। তদন্ত কমিটি বলছে, উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণকেন্দ্রের যৌক্তিকতা নেই। রাজনৈতিক বিবেচনায় এগুলো করা হচ্ছে। এখানেও প্রশিক্ষকের বিধান রাখা হয়নি।
প্রশিক্ষণকেন্দ্রগুলোর প্রতিটির জন্য এক থেকে সাত একর পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অথচ এক একর জমিই যথেষ্ট ছিল। সাততলা করে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি বলছে, দুই থেকে তিনতলা ভবনই যথেষ্ট। ভবনগুলোতে অতিরিক্ত তলা নির্মাণ করা না হলে ৪৩৭ কোটি টাকা বাঁচবে। বেশি জমি অধিগ্রহণে ৪১ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
৫ আগস্টের পর এ প্রকল্পে পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল হাসান। তিনি গত ১১ মার্চ প্রথম আলোকে বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী সাততলার পরিবর্তে কোথাও তিন, কোথাও চার, কোথাও পাঁচতলা ভবন করা হবে। এ ছাড়া নীলফামারী সদর, শেরপুর সদরসহ পরশুরাম ও কাশিয়ানী প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণকাজ বাতিল করা হয়েছে। এখন নতুন নকশা করতে হবে।
ভারতের ঋণে ১২ জেলায় আইটি পার্ক স্থাপনে একটি প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১৭ সালে। এতে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। তদন্ত কমিটি বলছে, অন্তত চারটি পার্ক নির্মাণের যৌক্তিকতা ছিল না। অপ্রয়োজনীয় বরাদ্দ বাতিল করলে ১ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব।
আরও পড়ুনআইসিটি বিভাগের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি নিয়ে প্রশ্ন০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস নামে ওয়েবসাইটউদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) নামে ২০১৬ সালে ৪৪৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস নামে একটি ওয়েবসাইট (www.
তদন্ত কমিটি মনে করে, ওয়েবসাইটটি অপ্রয়োজনীয়। এটি বাতিল করা যেতে পারে। গত ১০ মার্চ চেষ্টা করেও ওয়েবসাইটে ঢোকা যায়নি। আইসিটি বিভাগ বলছে, সেটি বাতিল করা হয়েছে।
বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী এ কে এম ফাহিম মাশরুর গত ১১ মার্চ প্রথম আলোকে বলেন, ওয়েবসাইটটি কাউকে খুশি করার জন্য করা হয়েছিল। এ ধরনের ওয়েবসাইট করতে সাধারণত এক থেকে দুই কোটি টাকা লাগে। এখানে অস্বাভাবিক খরচ হয়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল লেনদেন ‘বিনিময় পেমেন্ট’ গেটওয়ের জন্য ৬৫ কোটি টাকা রাখা হয়। এর মধ্যে খরচ হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা। তদন্ত কমিটি বলেছে, গেটওয়েটি কার্যকর না থাকায় বাকি ২১ কোটি টাকা ফেরত নেওয়া যেতে পারে।
ব্যাংক, মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) ও পিএসপির মধ্যে আন্তলেনদেন নিষ্পত্তির সুযোগ দিতে ২০২২ সালে ‘বিনিময়’ নামের নতুন প্ল্যাটফর্ম চালু হয়। এ সেবার মাধ্যমে একটি অ্যাকাউন্ট দিয়ে বিকাশ থেকে রকেটে অথবা রকেট থেকে এমক্যাশ বা বিকাশে কিংবা ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেন করা যাবে।
গত ২৯ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘মোবাইলে আর্থিক সেবার আন্তলেনদেন পরিচালনার জন্য “বিনিময়” নামে যে প্ল্যাটফর্ম করা হয়েছিল, সেটি ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেল কোম্পানি। এমএফএসে আন্তলেনদেনব্যবস্থা এগোতে না পারার একটা বড় কারণ, এটি আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়া হয়েছিল।’
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ড আয়োজনের জন্য রাখা ১৯ কোটি টাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুনএটুআইয়ে বেশি কাজ পেত ৩ কোম্পানি ও ‘আধিপত্য’ ছিল একজনের১২ নভেম্বর ২০২৪ব্যবহার হয় না ১৬৪ মোবাইল গেম৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন নামে ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প নিয়েছিল বিগত সরকার। তদন্ত কমিটি বলছে, এ প্রকল্পের টাকায় ১৬৪টি মোবাইল গেম ও ১০২টি মোবাইল অ্যাপ তৈরি করা হয়। এসব সরকারের করার কথা নয়। এগুলো ব্যবহারও হয় না। সবগুলোই ঠিকাদারের (ভেন্ডর) কাছ থেকে সংগ্রহ করা। প্রকল্পের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে কোনো অ্যাপ বা গেমস তৈরি করা হয়নি।
তদন্ত কমিটি বলছে, প্রকল্পের নামে ১১টি অ্যানিমেশন চিত্র, হলি গ্রাফিক চিত্র, ভিআর মুভি নির্মাণ, মোবাইল গেম, মোবাইল অ্যাপ নির্মাণের মাধ্যমে ১৪৬ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে।
২০১৯ সালে ১৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদিত আরেকটি প্রকল্পে কম্পিউটার সফটওয়্যার কেনাকাটাসহ বেশ কিছু অপ্রয়োজনীয় খাত খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এখান থেকে ১৭ কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব।
আরও পড়ুনআইসিটি খাত সংস্কারে ৬ বছর মেয়াদি পথনকশার খসড়া প্রস্তুত১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রশিক্ষণ–পরামর্শকের পেছনে অস্বাভাবিক ব্যয়ডিজিটাল সরকার ও ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে ২০২২ সালে ২ হাজার ৫৪১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। তবে এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন খাতে ব্যয় ধরা হয় খামখেয়ালিভাবে। যেমন ১০ হাজার সরকারি কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের ব্যয় ধরা হয় ১০৩ কোটি টাকা। পরামর্শকদের পেছনে ব্যয় ধরা হয় ২১ কোটি টাকা। অস্বাভাবিক এ খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তদন্ত কমিটি। প্রকল্পে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা।
তদন্ত কমিটি বলেছে, অপ্রয়োজনীয় বরাদ্দ বাতিল করলে ১ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা বাঁচবে।
আরও পড়ুনতথ্যপ্রযুক্তি খাত: পাবলিক সফটওয়্যার প্রকল্পের সমস্যার কারণ কী২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ঋণচুক্তি না করেই প্রকল্প২০২১ সালে ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন’ নামে একটি প্রকল্প নেয় আইসিটি বিভাগ। ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। বাকি টাকা চীন সরকারের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার কথা। এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৯ হাজার ২৪৪টি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার কথা।
তবে চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তি না করেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়। তদন্ত কমিটি বলছে, ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া আইসিটি বিভাগের কাজ নয়। চীনের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার কথা থাকলেও ঋণচুক্তি হয়নি। এটি বাতিল করা যেতে পারে। অপ্রয়োজনীয় খাত বাদ দিলে ৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা বাঁচবে। আর যা ব্যয় হয়েছে, তা অপচয়।
আরও পড়ুনস্যাটেলাইট কোম্পানির সাবেক প্রধান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন: নাহিদ০২ অক্টোবর ২০২৪শিবচরে ফ্রন্টিয়ার ইনস্টিটিউটমাদারীপুরের শিবচরে একটি বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট করতে ২০২২ সালে ১ হাজার ৫৩৪ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি শিবচর, মাদারীপুর’ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০০ কোটি টাকায় ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি বলছে, এত ভূমির প্রয়োজন নেই। এতে সরকারি টাকা লুটপাট হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন বলছে, উপজেলা পর্যায়ে এ ধরনের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের যৌক্তিকতা নেই। নয়তলা ভবনসহ ব্যবসাকেন্দ্র, অফিসার্স বাংলো, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল কর্নার, টেনিস কোর্ট প্রভৃতি নির্মাণে ১৫ কোটি টাকা ধরা হয়েছে, যা অপচয় হবে। অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম বাদ দিয়ে ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুনগত সরকারের দীর্ঘ সময়ে আইসিটি ছিল টাকা বানানোর বড় খাত: রাফেল কবির১৪ জানুয়ারি ২০২৫‘বহুমাত্রিক লুটতরাজ হয়েছে’দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, আইসিটি খাতে গত সাড়ে ১৫ বছরে বহুমাত্রিক লুটতরাজ হয়েছে। বিগত সরকার এ খাতে আকর্ষণীয় স্লোগান ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’–এর কথা বলেছে। বাস্তবে এ খাতে বিপুল বিনিয়োগ কাজে আসেনি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যাঁরা প্রকল্প প্রণয়নে যুক্ত, তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য একটা বার্তা দিতে হবে, যাতে এ খাতে কেউ দুর্নীতি করার সাহস না করে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এ প রকল প র আওত য় ম র চ প রথম আল ক ভবন ন র ম ণ প রকল প ন য় স প ট ম বর ন র ম ণ কর ই প রকল প র প রকল প ২০২২ স ল খরচ হয় ছ গত সরক র ব ত ল কর সরক র র ত সরক র র জন য মন ত র ল নদ ন আইস ট উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিএনপির নির্বাচনী যাত্রা শুরু
সব জল্পনার অবসান হলো—বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করছেন। তিনি ফেনী-১, বগুড়া-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসনে প্রার্থী হবেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করবেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সোমবার বিএনপি ২৩৭ আসনে মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তাতে দলের দুই শীর্ষ নেতার নির্বাচন করা এবং তাঁদের নির্বাচনী আসনগুলো নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১ আসনে নির্বাচন করবেন।
তারেক রহমান বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচন করবেন, অনেক আগে থেকেই এমন আলোচনা আছে। তবে অসুস্থতার কারণে এবার খালেদা জিয়ার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংশয় ছিল। আবার তাঁর নিজেরও নির্বাচন করার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ ছিল না।
দলীয় সূত্র বলছে, নির্বাচন ঘিরে নানামুখী শঙ্কা, বিশেষ করে ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে নেতৃত্ব দিতে রাজি করানো হয়। শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় নেতা-কর্মীরা আনন্দিত।
স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, সেলিমা রহমান ও নজরুল ইসলাম খান এবার নির্বাচন করছেন না। তবে বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা জমির উদ্দিন সরকারের পঞ্চগড়-১ আসনে তাঁর ছেলে মোহাম্মদ নওশাদ জমিরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন, নানা কারণে আসন্ন নির্বাচন বিএনপির জন্য খুব স্বস্তিদায়ক না-ও হতে পারে। খালেদা জিয়াকে নির্বাচন করতে রাজি করানোর মধ্য দিয়ে সার্বিকভাবে নির্বাচনের গুরুত্বটা আরও বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি নির্বাচন নিয়ে নতুন কোনো জটিলতার উদ্ভব হলে, সেটা মোকাবিলায়ও তাঁর ভোটে অংশগ্রহণ পরিস্থিতির ওপর একটা প্রভাব ফেলবে।
জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে সোমবার ২৩৭ আসনে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বাকি ৬৩টি আসনে প্রার্থিতা পরে ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, স্থগিত রাখা কিছু আসনে প্রার্থিতা নিয়ে অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে। আর কিছু আসন জোট ও সমমনা দলগুলোর প্রার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে, যাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হতে পারে।
ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, বিএনপির চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির ১২ জন সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যরা হলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন (কুমিল্লা-১), মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ (ঢাকা-৮), গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (ঢাকা-৩), আবদুল মঈন খান (নরসিংদী-২), আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১০), ইকবাল হাসান মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), সালাহউদ্দিন আহমদ (কক্সবাজার-১), হাফিজ উদ্দিন আহমদ (ভোলা-৩) এবং এ জেড এম জাহিদ হোসেন (দিনাজপুর-১)।
স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, সেলিমা রহমান ও নজরুল ইসলাম খান এবার নির্বাচন করছেন না। তবে বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা জমির উদ্দিন সরকারের পঞ্চগড়-১ আসনে তাঁর ছেলে মোহাম্মদ নওশাদ জমিরকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। তবে তিনি বলেছেন, এটি প্রাথমিক তালিকা। প্রয়োজন বোধ করলে স্থায়ী কমিটি প্রার্থিতা পরিবর্তন করতে পারবে।
সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে প্রার্থী ঘোষণার আগে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে তারেক রহমানের সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি সভা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সভা হয়। সেখানে জুলাই সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন নিয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়েও আলোচনা হয়। পরে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এ সময় বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
এবারের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। তাঁকে ফেনী-৩ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘জীবনে প্রথম সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছি। দল আমার ওপর আস্থা রেখেছে, সে আস্থা রাখার জন্য ধন্যবাদ। আমি আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) সঙ্গে দেখা করব, সালাম জানাব।’
যে কারণে ঢাকার সাতটি আসন ফাঁকাঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে ১৩টিতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি সাতটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। নেতা-কর্মীরা বলছেন, ঢাকায় প্রার্থিতা নিয়ে মারাত্মক পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নেই। তাঁদের ধারণা, নির্বাচনী সমঝোতার জন্য আসনগুলোতে প্রার্থিতা স্থগিত রাখা হয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সাতটি আসনের মধ্যে জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) সঙ্গে সমঝোতা হলে তাদের জন্য অন্তত তিনটি আসন ছাড় দেওয়া হতে পারে। এ তালিকায় গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজেপি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নামও আছে।
তবে এনসিপির নেতারা যেসব আসনে নির্বাচন করতে চান বলে আলোচনা আছে, সে আসনগুলোর একটি (ঢাকা-৯) ছাড়া বাকিগুলোতে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম (ঢাকা-১১), সদস্যসচিব আখতার হোসেন (রংপুর-৪), জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা (ঢাকা-৯), দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (কুমিল্লা-৪), উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম (পঞ্চগড়-১) ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদের (নোয়াখালী-৬) স্ব স্ব আসনে তাঁদের কমবেশি তৎপরতা আছে।
ঢাকা-৯ আসন স্থগিত রাখা হলেও সেটা কার জন্য, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সেখানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী খানকে (সোহেল) প্রার্থী করা হতে পারে বলে দলে আলোচনা আছে।
ঢাকা-১৪: মায়ের ডাক-এর সানজিদাঢাকা-১৪ আসনে এবার প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়লেন এস এ খালেকের ছেলে এস এ সিদ্দিক (সাজু)। সেখানে গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের ব্যক্তিদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সংগঠক সানজিদা ইসলামকে (তুলি) প্রার্থী মনোনীত করেছে বিএনপি। এই আসনে ইতিমধ্যে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের শিকার মীর আহমদ বিন কাসেমকে (আরমান)। তিনি আট বছর গুম ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্তি পান।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। ডিসেম্বরের শুরুর দিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। এ লক্ষ্যে দলটি অভ্যন্তরীণ জরিপসহ সাংগঠনিক উপায়ে প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন করেছে। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের নাম প্রকাশ করে নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করল বিএনপি।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের মানুষ বিগত ১৫-২০ বছর ভোট দিতে পারেনি। এখন জাতি উৎসাহিত হচ্ছে ভোটের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। তিনি বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি পূরণ করার লক্ষ্যে বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে একটা বড় পদক্ষেপ নিল। ইতিমধ্যে অনেকে মাঠে চলে গেছেন, এ ঘোষণার পর বাকিরাও মাঠে যাবেন। এর মাধ্যমে ভোটের একটা উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হবে।
১০ নারী প্রার্থীঘোষিত ২৩৭ আসনের প্রার্থী তালিকায় নারী রয়েছেন দশজন। এর মধ্যে অন্যতম বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাকিরা হলেন সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর, ফরিদপুর-২ আসনে শামা ওবায়েদ ইসলাম, ফরিদপুর-৩ আসনে নায়াব ইউসুফ আহমেদ, মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আফরোজা খান রিতা, শেরপুর-১ আসনে সানসিলা জেবরিন, ঝালকাঠি-২ আসনে ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, যশোর–২ আসনে সাবিরা সুলতানা, ঢাকা-১৪ আসনে সানজিদা ইসলাম ও নাটোর-১ আসনে ফারজানা শারমিন।
মনোনয়ন না পেয়ে দুই মহাসড়ক অবরোধমাদারীপুর-১ আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করে কামাল জামান মোল্লাকে। এর প্রতিবাদে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা রাত আটটার দিকে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর অনুসারীরা সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।