রহমতগঞ্জের ‘ম্যাচ ছিনতাই’, রেফারি দিলেন রোনালদোর উদাহরণ
Published: 16th, April 2025 GMT
১১২ মিনিট পর্যন্ত স্কোরলাইন ১-১। ১১৩ মিনিটে গোল করে বসুন্ধরা কিংসকে ফাইনালের টিকিট উপহার দেন ইনসান হোসেন। গতকাল ফেডারেশন কাপে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি এবং বসুন্ধরা কিংসের মধ্যে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি যদি এভাবে শেষ হতো তাহলে কোনো কথাই হতো না। কিন্তু দুই দলের খেলোয়াড়দের হট্টগোলের কারণে খেলা বন্ধ থাকা, এরপর পেনাল্টি–বিতর্ক ম্যাচ শেষে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
রহমতগঞ্জের সভাপতি হাজী টিপু সুলতান আঙুল তুলেছেন বসুন্ধরা কিংসের প্রতি। ভিন্ন কিছু ঘটতে পারে—এমন আশঙ্কাও ছিল তাঁর। আজ প্রথম আলোকে টিপু সুলতান বলেছেন, ‘এমন কিছু তারা (বসুন্ধরা কিংস) ঘটাতে পারে, আমাদের আগেই মনে হয়েছিল।’
আরও পড়ুনহাতাহাতি, খেলা বন্ধ, এরপর ইনসানের গোলে ফাইনালে কিংস২০ ঘণ্টা আগেকিংস অ্যারেনায় ম্যাচের ১২৩ মিনিটে ঘানার মামুদ ওশিকে কিংসের চন্দন রায় বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টির আবেদন করে রহমতগঞ্জ। কিন্তু বিষয়টি এড়িয়ে যান রেফারি জালাল উদ্দিন। তাতে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি কামাল বাবুর দলের। পরে সেই ফাউলের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। রহমতগঞ্জও তাদের ফেসবুক পেজে সেই ভিডিও শেয়ার করে, যা নিয়ে ফুটবল অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বইছে।
রহমতগঞ্জের সভাপতি রেফারির এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্তকে ম্যাচ ছিনতাই হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘তাঁরা রীতিমতো ম্যাচটা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এত টাকাপয়সা খরচ করার ফল যদি এভাবে নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে কীভাবে উন্নতিটা হবে। ফুটবল ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে রেফারিদের এমন ভুল-পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্তের কারণে।’
রেফারি জালাল উদ্দিন পেনাল্টি না দেওয়ায় হতাশায় বসে পড়েন রহমতগঞ্জের মামুদ ওশি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চার দিনের জ্বরে ভুগে মারা গেল কিশোর
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের ফকিরহাট এলাকায় আশরাফুর রহমান (১৪) নামের এক কিশোর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। গত শুক্রবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আশরাফুর রহমান ওই এলাকার মিজানুর রহমানের একমাত্র ছেলে। সে সীতাকুণ্ড আলিয়া মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সীতাকুণ্ডে এই প্রথম একজন মারা গেল।
আশরাফুর রহমানের দাদা এম এ আলীম আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার তাঁর নাতির জ্বর আসে। সামান্য ব্যথাও ছিল। জ্বর কমছে না দেখে রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর আশরাফুরকে পৌর সদরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গতকাল সোমবার রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সে মারা যায়। দুপুরে মডেল মসজিদ এলাকায় জানাজার নামাজ শেষে ফকিরহাট নলুয়া দিঘি এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় আশরাফকে।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি হাসপাতালের দায়িত্বগত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কিশোর ভালো ছিল। আজ ভোর চারটার দিকে তার পাতলা পায়খানা ও খিঁচুনি হয়। এরপর তারা দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে কিশোরটি মারা যায়।
সীতাকুণ্ডে আজ এক দিনেই ৬ জনের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন।