রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা নেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওর যুবক আশরাফুল আলমকে (২৩) তিন দিন রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। 

গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলাম ওই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে তাকে হাজারীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

ধানমন্ডি থানা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া আশরাফুলসহ অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ধানমন্ডির ২/এ নম্বর রোডের ইবনে সিনা হাসপাতালের বিপরীত পাশে সড়কে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল থেকে চাঁদা নিয়ে আসছিলেন। গাড়ি থামলেই তাদের চাঁদা দিতে হয়। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে একটি প্রাইভেটকার থেকে চাঁদা আদায় করেন আশরাফুল। চাঁদা আদায়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরপরই ধানমন্ডি থানা পুলিশ আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে। চাঁদাবাজির ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়েছে। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার এসআই মনির হোসেন গতকাল আসামি আশরাফুলকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিন রিমান্ড নেওয়ার আবেদন করেন। 
ধানমন্ডি থানার ওসি আব্দুল আলিম সমকালকে বলেন, আদালত আসামির তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আশরাফুলের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ এলাকায়। থাকেন হাজারীবাগ এলাকায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা শার্ট পরা আশরাফুল রশিদ কেটে এক প্রাইভেটকার আরোহীর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছেন। এ সময় প্রাইভেটকার আরোহী তাকে বলেন, ধানমন্ডি ইবনেসিনা হাসপাতালের কাছে গাড়ি পার্ক করায় তার কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। আরোহীরা তাকে 'মাস্তানি' করার অভিযোগ তুললে ওই যুবক পাল্টা প্রশ্ন করেন 'কোনো সমস্যা' কি-না। গাড়ির ভেতর থেকে মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে দেখে যুবক 'ভালো করে' ভিডিও করেন। চাঁদা নেওয়ার পর 'পারলে কিছু করতে' বলে চলে যান যুবক আশরাফুল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ধ নমন ড আশর ফ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ