মোটরসাইকেলসহ হালদা নদীতে পড়ে যান দুই যুবক, ৮ ঘণ্টা পর একজনের লাশ উদ্ধার
Published: 17th, April 2025 GMT
ক্রিকেট খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন নুরউদ্দিন মোহাম্মদ (৩৫) ও তাজ উদ্দিন (৩৬)। পথে কাঠ ও বাঁশের সেতু পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলসহ হালদা নদীতে পড়ে যান তাঁরা। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থলের কয়েক শ মিটার দূরে প্রবাসী নুরউদ্দিনের লাশ পাওয়া যায়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের সীদ্ধাশ্রম ঘাট এলাকায় হালদা নদীর ওপরের কাঠ ও বাঁশের সেতু থেকে ছিটকে পড়ে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন তাজ উদ্দিনকে নদী থেকে উদ্ধার করতে পারলেও অপরজনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন রাত ১২টায় অভিযান বন্ধ করে চলে যান। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে নুরউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নুরউদ্দিন স্থানীয় সুয়াবিল ইউনিয়নের পাঁচ পুকুরিয়া চন্দ্রঘোনা গ্রামের আবদুল ইসলামের ছেলে। গত রমজানে তাঁর বিয়ে হয় বলে জানায় পরিবার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে থাকতেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মোটরসাইকেলের পেছনের আসনে থাকা তাজ উদ্দিন স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।
নুরউদ্দিনের চাচা মো.
গতকাল বিকেলে প্রবাসী নুরউদ্দিন ও শিক্ষক তাজ উদ্দিন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির কাছে একটি মাঠে ক্রিকেট টিমের খেলা দেখতে যান। খেলা শেষে বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন দুজন। নুরউদ্দিন মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন আর তাজ উদ্দিন ছিলেন পেছনের আসনে বসা। হালদা নদীর কাঠ ও বাঁশের বেড়ার সেতু দিয়ে পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেলসহ দুজন নদীতে পড়ে যান। সেতুটি মানুষ কিংবা গাড়ি উঠলেই কাঁপে। পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনীও নেই বলে জানান জহুরুল আলম।
আজ সকালে ফটিকছড়ি ফায়ার অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনার পর নদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ প্রবাসীর খোঁজ পাননি। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ফোনে খবর পান, স্থানীয় লোকজন তাঁর লাশ উদ্ধার করেছেন নদী থেকে।
ফটিকছড়ির ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের অভিযোগ না থাকায় নুরউদ্দিনের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন রউদ দ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি
কে বেশি ক্লান্ত—ক্রিকেট না দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটের ক্লান্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিতে না পারার আর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লান্তি ক্রিকেটের কাছ থেকে বৈশ্বিক কোনো শিরোপা নিতে না পারার! অবশেষে ক্লান্তির সেই কবিতার ক্লাস শেষ হলো। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিল অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট খেলাটিকে দায়মুক্ত করল তার কাছ থেকে একটি বিশ্বকাপ নিয়ে! ক্রিকেটকে দায়মুক্ত করা বা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতার একঘেয়ে ক্লান্তি ঘোচানোর নায়ক কে? লর্ডসে ২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নটিকে অতীব সহজ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। উত্তরটাও সবার এখন জানা। একবাক্যে সবাই বলবেন, নায়কের নাম এইডেন মার্করাম।
টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি—ক্রিকেটের যে সংস্করণের কথাই বলুন, দক্ষিণ আফ্রিকা খেলাটির অন্যতম পরাশক্তি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে হওয়া আইসিসি নকআউট ট্রফি (মিনি বিশ্বকাপ) ছাড়া আজকের আগপর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক ট্রফি প্রোটিয়াদের ছিল না।
অবশেষে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মাথায় বিশ্বসেরার মুকুট উঠল, ক্রিকেট-তীর্থ নামে পরিচিত লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মেইস বা গদা তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৭ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা বলতে গেলে একা হাতে শিরোপা জিতিয়েছেন মার্করাম। আরও স্পষ্ট করে বললে আসলে প্রোটিয়াদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দিয়েছে মার্করামের ইতিবাচকতা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ব নিয়ে খেলার দৃঢ়তা।
ঠিক ১১ বছর আগে মার্করাম নিজেকে ঠিক এ রকম তিনটি শব্দেই বর্ণনা করেছিলেন। সালটা ২০১৪, সেবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন মার্করাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসির এক অনুষ্ঠানে মার্করামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—নিজেকে তিনটি মাত্র শব্দে কীভাবে বোঝাবেন। উত্তর যেন মুখস্থ, এমনভাবেই ১৯ বছর বয়সী তরুণ মার্করামের উত্তর ছিল—ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্ববান।
সেঞ্চুরির পর মার্করাম