মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির আকাশ আলোকিত করল একটি উজ্জ্বল বস্তু, যাকে প্রথমে উল্কাপিণ্ড বলে মনে হয়েছিল। বুধবার রাত তিনটার দিকে নগরের ওপর দিয়ে এটিকে যেতে দেখা যায়।

লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ফায়ারবলের (আলোক বল) ছুটে চলা এবং মেক্সিকো সিটির আকাশ আলোর ঝলকানিতে ভরে ওঠার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার পর অনেকের মনে বিস্ময় জাগিয়েছে।

দ্রুতই এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিমের উপাদানে পরিণত হয়। ফায়ারবলের ছবির সঙ্গে কার্টুন ও নানা রাজনৈতিক কৌতুক মিলে ইন্টারনেটে রসিকতার বন্যা বয়ে যায়।

মেক্সিকোর বিজ্ঞানীরা জানিয়ে দেন, আকাশের বুকে ছুটে চলা বস্তুটি উল্কাপিণ্ড নয়, এটি ছিল আসলে একটি বলাইড (উজ্জ্বল আলোক গোলক)।

নাসার সংজ্ঞা অনুযায়ী, বলাইড একধরনের ফায়ারবল, যেগুলো অত্যন্ত উজ্জ্বল উল্কা। এগুলো এতটাই চোখধাঁধানো যে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকাজুড়ে তাদের দেখা যায়।

ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অব মেক্সিকোর মহাকাশবিজ্ঞানের গবেষক মারিও রদ্রিগেজ বলেন, এটাকে উল্কা বা উল্কার খণ্ডিত অংশ হিসেবে বর্ণনা করা যায়।

পৃথিবীতে ধেয়ে আসার সময়েই মেক্সিকোর আকাশে ছুটে চলা উজ্জ্বল উল্কাপিণ্ডগুলোয় আগুন ধরে যায়।

মেক্সিকোর বহু মানুষকে চমকে দেওয়া ভিডিওটি নিয়ে গবেষণা করা বিজ্ঞানীদের একজন রদ্রিগেজ। তিনি আরও বলেন, ছুটে চলা বস্তুটির ওপর প্রচণ্ড চাপ থাকার কারণে এতে আলোর ঝলকানি শুরু হয়, একসময় প্রসারিত লেজ বের হয় এবং আলো বিকীর্ণ হয়।

রদ্রিগেজ বলেন, এই বিশেষ উল্কাখণ্ডটি দেড় মিটার দীর্ঘ। এতে জনসাধারণের জন্য কোনো ধরনের হুমকি ছিল না।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাক্তন স্ত্রী দেবশ্রীর সঙ্গে প্রেমের সিনেমা করতে চান প্রসেনজিৎ

ভারতীয় বাংলা সিনেমার তারকা জুটি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি ও দেবশ্রী রায়। পর্দায় এ জুটির রোমান্স দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অসংখ্য ভক্ত। রুপালি পর্দার রোমান্স ব্যক্তিগত জীবনেও গড়ায়। ভালোবেসে দেবশ্রী রায়কে বিয়ে করেন প্রসেনজিৎ। কিন্তু কয়েক বছর পরই এ বিয়ে ভেঙে যায়। তারপর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। 

সংসার ভাঙার পাশাপাশি দর্শক হারান রুপালি পর্দার জনপ্রিয় এই জুটিকে। এরপর আর কোনো সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যায়নি তাদের। অবশেষে দূরত্ব কমিয়ে দেবশ্রীর সঙ্গে সিনেমা করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন প্রসেনজিৎ।  

আরো পড়ুন:

নিজেকে তৈরি করে খোলামেলা দৃশ্যে অভিনয় করব: স্বস্তিকা

ছেলের বন্ধুরা ‘দিদি’ বলে ডাকে: শ্রাবন্তী

কিছুদিন আগে ‘আমি যখন হেমা মালিনী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছিলেন—“দেব-শুভশ্রী জুটির পর আমি চাই আবার প্রসেনজিৎ-দেবশ্রী জুটি ফিরুক, এই জুটিটা ফেরার অত্যন্ত প্রয়োজন।” ‘দেবী চৌধুরানী’ সিনেমার প্রচারে চিরঞ্জিতের এই বক্তব্য প্রসেনজিৎকে জানানো হয়। 

এ বিষয়ে প্রসেনজিৎ বলেন, “আমি তো চাই দীপকদা একটা স্ক্রিপ্ট লিখুক আমাদের জন্য, আমার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল এবং আমি অনেকবার দীপকদাকে বলেছি যে, আমি তোমার পরিচালনায় একটা কাজ করতে চাই। দীপকদা, আমাদের জন্য যদি পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমি সিনেমা করতে চাই। আর আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে দেবশ্রীর সঙ্গে আবারো একটা পরিণত প্রেমের সিনেমা করতে চাই।” 

তাহলে কী পুরোনো তিক্ততা ভুলে গেছেন প্রসেনজিৎ? জবাবে এই নায়ক বলেন, “আমার কারো সঙ্গে কোনো তিক্ততা নেই। যে আমার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলবে, আমি সব সময় তাদের জন্য আছি। আর কোনো তিক্ততা নিয়ে বাঁচতে চাই না, যে কটা দিন আছি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নিয়েই থাকতে চাই।” 

এক সময় দেবশ্রীকে নিয়ে কথা বলতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন না প্রসেনজিৎ। তবে অভিমান ভুলে কাজের ক্ষেত্রে আবার এক হওয়ার কথা বললেন তিনি। বর্তমানকে ভালোবেসে যেমন এগিয়ে যান, ঠিক তেমনই কি অতীতকেও আঁকড়ে বাঁচেন?  

এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, “নিজের অতীতকে কখনো উপেক্ষা করা যায় না। মাঝেমাঝেই আমি আমার অতীতে ফিরে যাই; সেই সময়গুলোর জন্যই আজকের আমি। অতীত আমাকে অনেক ভালোবাসা, রাগ-দুঃখ-ক্ষোভ দিয়েছে। আমার ক্ষেত্রে যেটা অল্প কিন্তু তবু আছে সেটা হলো—ঘৃণা। সেটাও পেয়েছি, তবে অতীত যেমনই হোক না কেন, তাকে কখনো ফেলে দেওয়া যায় না। আমরা সবাই মাঝে মাঝে অতীতে ফিরে যাই।” 

সময়ের সঙ্গে অনেক কিছু বদলে গেছে। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতেও দ্বিধাবোধ করেন না প্রসেনজিৎ।তার ভাষায়—“এই বদলগুলোকে মেনে না নিলে আমাকে পিছিয়ে পড়তে হবে। আমি প্রচুর বদল দেখেছি, তবে যেই সময় যেটা এসেছে, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছি, এটাই তো করা উচিত। না হলে বর্তমান প্রজন্ম থেকে দূরে সরে যেতে হবে।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ