তিন ছেলের মধ্যে ফুটবলে কে সেরা, মেসি যা বললেন
Published: 18th, April 2025 GMT
লিওনেল মেসির তিন ছেলে থিয়াগো, মাতেও এবং চিরো বেড়ে উঠছে। বিভিন্ন সময় ফুটবল প্রতিভার জন্য আলোচনায়ও আসে তারা। মেসির ছেলে হলেও ফুটবল মঞ্চে নিজেদের ছাপ ফেলতে চাইলে নিজ নিজ প্রতিভা দিয়েই তা করে দেখাতে হবে।
সেই লক্ষ্য নিজেদের প্রস্তুতিও সারছে তারা। সম্প্রতি ‘সিম্পলি ফুটবল’ অনুষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিন ছেলেকে নিয়ে কথা বলেন মেসি। যেখানে তিন ছেলের মধ্যে ফুটবলীয় প্রতিভায় কে সেরা সেটা বলেননি তিনি, তবে তিনজনের কার কেমন গুণ, সেসব বিস্তারিত তুলে ধরেছেন ইন্টার মায়ামি তারকা।
তিন ছেলেকে নিয়ে জানতে চাইলে মেসি বলেছেন, ‘তারা সারা দিন বল নিয়েই থাকে। তাদের সঙ্গে আমিও উপভোগ করি। প্রতিদিন অনুশীলন করে, লড়াই করে এবং ম্যাচ খেলে। তাদের সঙ্গে থাকার সুযোগ পাওয়াটা অসাধারণ ব্যাপার। এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তারা খুবই সরল। আমি যদি এখন একজনের নাম বলি পরে তারা বলবে, “তুমি কেন তার নাম বললে।” তাই নামটা আমি নিজের কাছেই রাখি। তবে তিনজনই বেশ আলাদা।’
আরও পড়ুনমেসির তিন ছেলে কে কেমন, কোন স্কুলে পড়ে, কেমন জীবন তাদের৩০ মার্চ ২০২৫মেসির বড় ছেলে থিয়াগো। তাঁর বয়স ১২। থিয়োগোর বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মেসি বলেছেন, ‘থিয়াগো চিন্তাশীল, সংগঠক এবং একজন মিডফিল্ডার।’ আগামী সেপ্টেম্বরে দশম জন্মদিন পালন করবে মাতেও। মাঠে মেসির এই মেজ ছেলেকেই বেশি খুনসুটিতে মেতে থাকতে দেখা যায়। তাঁর বৈশিষ্ট্য নিয়ে মেসি বলেন, ‘মাতেও ফরোয়ার্ড, সে গোল করতে ও গোলের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করে এবং সে একজন বুদ্ধিমান খেলোয়াড়।’
তিন ছেলে থিয়াগো, মাতেও ও চিরোর সঙ্গের মেসি ও তাঁর স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪
কুমিল্লায় চারজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এখনই সতর্ক না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
সিভিল সার্জন ডা. আলী নূর মো. বশির আহমেদ বলেন, “গত দুইদিনে তিনজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজ শনিবার আরো একজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।”
তিনি বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কুমিল্লা নগরের, কেউ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। সবার নমুনা কুমিল্লা নগরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করা হয়েছিল।”
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে আরো ১ জনের করোনা শনাক্ত
কিট সংকটে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা বন্ধ
ডা. বশির আহমেদ বলেন, “আক্রান্তদের মধ্যে একজন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। দুইজন ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
করোনার প্রথম ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর বেশ কিছুদিন কুমিল্লায় নতুন করে সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি। ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে ছিলেন নগরবাসী। হঠাৎ একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জনমনে আবারো আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আক্রান্তের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকেই মাস্ক পরছেন এবং সাবধানতা অবলম্বনের চেষ্টা করছেন। তবে, গণপরিবহন, বাজার কিংবা ওষুধের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানার তেমন প্রবণতা দেখা যায়নি।
কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা আমেনা আক্তার বলেন, “আবার যেন সেই দিনগুলো ফিরে আসছে। দোকান-বাজারে মাস্ক ছাড়া মানুষ চলাফেরা করছে। আমরা তো আরেক দফা লকডাউনের ভয়ে আছি।”
সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির জন্য জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে প্রচার অভিযান চালানো হবে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ডাক্তার সানজিদুর রহমান বলেন , “করোনা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা অবহেলার সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে অবস্থা জটিল হতে পারে।”
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পঙ্কুশ বড়ুয়া বলেন, “করোনার বর্তমান পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ