ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে কাফন মিছিল করেছেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে তাঁরা মিছিল নিয়ে নগরের চৌমাথা এলাকায় যান। সেখানে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে বিক্ষোভে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তাঁরা এ বিক্ষোভ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল শুরু হওয়ার পরপরই চৌমাথা মোড়ে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিক্ষোভের কারণে কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে তাঁরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।

সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বরিশাল সরকারি পরিটেকনিক কলেজের কারিগরি ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মো.

আইয়ুব নবী, শিক্ষার্থী ইসরাত বিনতে পলি, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।

আরও পড়ুনঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের ‘কাফন মিছিল’৪ ঘণ্টা আগে

শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায্য ও যোগ্যতাভিত্তিক নিয়োগপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। তাঁদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে হাইকোর্টে বাতিল হওয়া মামলার আলোকে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় দ্রুত কার্যকর করা; বিতর্কিত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদটি বাতিল করে প্রাসঙ্গিক পদবি পুনর্বিন্যাস করা; মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা; ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত সব ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরের নিয়োগ বাতিল; বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন; মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ নিয়োগপ্রক্রিয়া চালুর নিশ্চয়তা প্রদান।

ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব নবী বলেন, ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার মর্যাদা রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে অবৈধ নিয়োগপ্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুনসারা দেশে আজ বিক্ষোভ মিছিল করবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ১০ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস ট র ক

এছাড়াও পড়ুন:

নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার 

আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আরো পড়ুন:

জুলাই বিরোধিতা: ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’

আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার 

সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের  রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে গমন করেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’ ।

এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১’ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গত ২৮ মে  আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭ তম সভার আলোচ্যসূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা।

ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ