কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে বরিশালে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
Published: 18th, April 2025 GMT
ছয় দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বরিশালে কাফন মিছিল করেছেন সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে তাঁরা মিছিল নিয়ে নগরের চৌমাথা এলাকায় যান। সেখানে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে বিক্ষোভে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তাঁরা এ বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল শুরু হওয়ার পরপরই চৌমাথা মোড়ে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিক্ষোভের কারণে কিছু সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও পরে তাঁরা মহাসড়ক ছেড়ে দেন।
সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বরিশাল সরকারি পরিটেকনিক কলেজের কারিগরি ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মো.
শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায্য ও যোগ্যতাভিত্তিক নিয়োগপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। তাঁদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে হাইকোর্টে বাতিল হওয়া মামলার আলোকে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের অবৈধ পদোন্নতির রায় দ্রুত কার্যকর করা; বিতর্কিত ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদটি বাতিল করে প্রাসঙ্গিক পদবি পুনর্বিন্যাস করা; মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা; ২০২১ সালে রাতের আঁধারে নিয়োগপ্রাপ্ত সব ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরের নিয়োগ বাতিল; বিতর্কিত নিয়োগবিধি অবিলম্বে সংশোধন; মেধাভিত্তিক ও স্বচ্ছ নিয়োগপ্রক্রিয়া চালুর নিশ্চয়তা প্রদান।
ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মো. আইয়ুব নবী বলেন, ছয় দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার মর্যাদা রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে অবৈধ নিয়োগপ্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুনসারা দেশে আজ বিক্ষোভ মিছিল করবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা ১০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনস ট র ক
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫