গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সালিসে সংঘর্ষ, প্রাণ গেল সাক্ষীর
Published: 18th, April 2025 GMT
খাগড়াছড়ির রামগড়ে গরুর ঘাস খাওয়া নিয়ে সালিসের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আটজন। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার তৈছালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কালাম (৫০) ওই গ্রামের আসলাম মিয়ার ছেলে। তিনি সালিসে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, তৈছালার বাসিন্দা সাদ্দামের একটি গরু প্রতিবেশী মর্তুজা আলীর জমিতে ঢুকে ঘাস খায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার জন্য সালিস ডাকা হয়। গতকাল বিকেলে সালিস চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে ফের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আবুল কালামসহ ৯ জন। তাঁদের প্রথমে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কালামের মৃত্যু হয়।
সালিসে উপস্থিত থাকা কয়েকজন জানান, তুচ্ছ ঘটনাটি সালিসের মাধ্যমেই সমাপ্তি হয়েছিল। হঠাৎ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় আবুল কালাম নিহত ও কয়েকজন আহত হন।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আবুল কালামের লাশ চট্টগ্রাম থেকে থানা এনে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা
খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন।
দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।
দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত। তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা