নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে বাছাইপর্বে নিজেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আজ মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ নারী দল। শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এ নিয়ে বাছাইয়ের পাঁচ ম্যাচে চতুর্থবার আগে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের একাদশে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফর্মহীন সুবহানা মোস্তারির বদলে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দিলারা আক্তার। বাকি খেলোয়াড়রা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা আগের একাদশেরই অংশ।  

এরইমধ্যে বাছাইপর্বের আগের চার ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশের জন্য আজকের ম্যাচটি টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াই। জয় পেলেই সরাসরি মূল পর্বে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশ। তবে হারলে তাকিয়ে থাকতে হবেওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম থাইল্যান্ড ম্যাচের ফলাফলের দিকে। এমন পরিস্থিতিতে জ্যোতিদের কেবল নিজেদের ম্যাচে জিতলেই চলবে না, ক্যারিবীয়দের পরাজয়ও কামনা করতে হবে। কিংবা জিতলেও যেন বড় ব্যবধানে না জেতে, সেটিও থাকবে বিবেচনায়।  

বাংলাদেশ একাদশ: দিলারা আক্তার, ফারজানা হক পিংকী, শারমিন আক্তার সুপ্তা, নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, নাহিদা আক্তার, রাবেয়া খান ও মারুফা আক্তার।  

পাকিস্তান একাদশ: শাওয়াল জুলফিকার, মুনিবা আলি, সিদরা আমিন, আলিয়া রিয়াজ, নাতালিয়া পারভেজ, ফাতিমা সানা (অধিনায়ক), সিদরা নেওয়াজ, রামিন শামিম, দিয়ানা বেগ, সাদিয়া ইকবাল ও নাশরা সুন্ধু।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ