মাগুরার সেই শিশুকে নিয়ে মাহবুবুল খালিদের লেখা-সুরে গাইলেন বাপ্পা
Published: 19th, April 2025 GMT
মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাওয়া ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়াকে নিয়ে গান গাইলেন জনপ্রিয় সংগীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার। ‘মাগুরার ফুল’ শিরোনামের গানটি লিখেছেন এবং সুর করেছেন স্বনামধন্য কবি, গীতিকার ও সুরকার মাহবুবুল খালিদ। হৃদয়স্পর্শী গানটিতে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন একঝাঁক তরুণ শিল্পী।
গত ৫ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী মাঠপাড়া গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে যৌন নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয় আছিয়া। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর প্রতিবাদে এবং আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মাগুরাসহ সারা দেশে ব্যাপক আন্দোলন হয়। অমানবিক নির্যাতনে আছিয়ার মৃত্যুতে ব্যথাতুর হয়ে ওঠে প্রতিটি সচেতন মানুষের হৃদয়।
মাত্র ৮ বছর বয়সী শিশুর প্রতি এমন ভয়াবহ নির্যাতন ও তার করুণ মৃত্যুর ঘটনায় মর্মাহত হন মানবদরদী কবি, গীতিকার ও সুরকার মাহবুবুল খালিদ। তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদে ‘মাগুরার ফুল’ শিরোনামে হৃদয়স্পর্শী একটি গান রচনা ও সুরারোপ করেন। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য মানুষকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে গানটি লেখা।
‘মাগুরার ফুল ছোট্ট মুকুল, ঝরে গেলো ফুটে ওঠার আগেই/ডাক্তার হবার স্বপ্নটা তার, নিভে গেলো পিশাচের এক ছোবলেই, এক ছোবলেই’-এমন কথামালায় গানটি শুরু হয়েছে। মাগুরার সেই শিশু আছিয়াসহ নির্যাতিত সব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এ গানের মাধ্যমে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি গানটির ভয়েস রেকর্ডিং ও মিক্স-মাস্টারিংসহ অডিওর সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সংগীতাযোজনে ছিলেন শেখ পুলক ও রোমান রহমান। চন্দন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় একটি মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করা হচ্ছে। এ গানে বাপ্পা মজুমদারের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন মৌটুসী খান, মৌলি মজুমদার এবং মৌমিতা বড়ুয়া।
গানটি খুব শিগগিরই মাহবুবুল খালিদের সংগীতবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘খালিদ সংগীত’ (www.
স্বনামধন্য কবি, গীতিকার ও সুরকার মাহবুবুল খালিদ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গান লিখে থাকেন। ইতোমধ্যেই তার লেখা ৫ শতাধিক গান ‘খালিদ সংগীত’ (www.khalidsangeet.com) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখা বেশিরভাগ গানে গীতিকার নিজেই সুরারোপ করেছেন।
‘মাগুরার ফুল’ গানে কণ্ঠ দেওয়ার বিষয়ে বাপ্পা মজুমদার বলেছেন, “মাগুরার ছোট্ট শিশু আছিয়ার মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে। এরকম প্রচণ্ড নাড়া দেওয়া প্রতিটি ঘটনা কিছুদিন পর আমাদের মন থেকে মুছে যায়। ছাড় পেয়ে যায় এর সঙ্গে জড়িত পিশাচেরা। প্রথিতযশা গীতিকার মাহবুবুল খালিদ এই ঘটনাকে গানের মাধ্যমে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যা বার বার আমাদের বিবেককে নাড়া দেবে। এরকম ব্যতিক্রমী একটি গানে কণ্ঠ দিয়ে আমার ভীষণ ভালো লাগছে। আশা করি, গানটি সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।”
মাহবুবুল খালিদের লেখা এ ধরনের সচেতনতামূলক প্রতিবাদী আরো অনেক গান রয়েছে। নির্যাতিত ও হত্যার শিকার মানুষদের নিয়ে তার লেখা গানের মধ্যে রয়েছে ফেলানী, আদুরী ইত্যাদি।
ঢাকা/রাহাত/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক র ম হব ব ল খ ল দ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস