এবার ইনজুরিতে কতদিনের জন্য ছিটকে গেলেন নেইমার?
Published: 19th, April 2025 GMT
ইনজুরি পিছু ছাড়ছে না নেইমারের। কাতার বিশ্বকাপের পর থেকে ইনজুরি লেগে আছে তার। আল হিলালে যোগ দেওয়ার পর দেড় বছর ইনজুরিতে বরবাদ হয়েছে সেলেসাও তারকার। ব্রাজিলের জার্সিতে ফেরায় আশায় আল হিলালের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে যোগ দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু শৈশবের ক্লাবেও ইনজুরিতে জর্জরিত সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি তারকা। গত ৩১ জানুয়ারি নেইমারের সান্তোসে ফেরার খবর নিশ্চিত হয়। পরের আড়াই মাসে তিনবার ইনজুরিতে পড়েছেন তিনি। প্রথম দু’বার ছোট ইনজুরি কাটিয়ে দ্রুত মাঠে ফিরলেও এবারের ইনজুরিতে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের।
নেইমার অ্যাথলেটিকো মিনেইরোর বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন। কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন তিনি। তখনই মনে হচ্ছিল, তার ইনজুরি গুরুতর। সংবাদ মাধ্যম ক্রিকইনফো জানিয়েছে, নেইমার ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে গেছেন।
এর আগে ইনজুরিতে পড়া নেইমারের ম্যাচ খেলার ফিটনেস ও ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ব্রাজিলের সংবাদ মাধ্যমে অভিযোগ করা হয়েছে, পর্যাপ্ত ফিট না হয়ে নেইমার ম্যাচ খেলতে নেমে যান। এছাড়া ইনজুরির সময়ে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন তিনি। যে কারণে ইনজুরি তার পিছু ছাড়ছে না বলেও অভিযোগ করা হয়।
নেইমার সান্তোসে ফেরায় ভক্তরা তাকে বাহবা দিয়েছিলেন। জাতীয় দলে খেলার পরিকল্পনায় সান্তোসে ম্যাচ খেলতে চাওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক বলা হচ্ছিল। কিন্তু একের পর এক নেইমার ইনজুরিতে পড়ায় এবার তাই অবসর চাইছেন ব্রাজিলের ভক্তরাই। তার অবসরের সময় হয়ে গেছে সোস্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভক্তরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ইনজ র ত
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।