‘বিসিবি আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে’
Published: 21st, April 2025 GMT
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক প্রধান কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহে বিসিবির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম কোড স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই তাকে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), যা তার কোচিং ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত ধ্বংস করে দিয়েছে।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলাকালে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে হাথুরুসিংহের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাকে বরখাস্ত করে বিসিবি। তবে শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন হাথুরুসিংহে। তার ভাষায়, ‘তারা আমাকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার কোনো সুযোগ দেয়নি। শুধু অভিযোগের ভিত্তিতে আমার ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে।’
সেই সময়কার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগও তুলে ধরেছেন হাথুরুসিংহে। জানান, বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি নিজেকে চরম নিরাপত্তাহীন মনে করছিলেন। ‘সাধারণত আমার সঙ্গে একজন ড্রাইভার ও একজন বন্দুকধারী থাকত। কিন্তু ওই দিন শুধু ড্রাইভার ছিল। তখনই বুঝেছিলাম, কিছু একটা ঘটেছে।’
ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে টিভিতে নিজের চাকরিচ্যুতির খবর দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি। ব্যাংক ম্যানেজারও তাকে সতর্ক করে বলেন, রাস্তায় বের হলে বিপদ হতে পারে। পরে এক বন্ধুর সহায়তায় টুপি ও হুডি পরে মধ্যরাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এই শ্রীলঙ্কান কোচ। নাসুমের ঘটনার ব্যাখ্যায় হাথুরু বলেন, ‘আমি কাউকে চড় মারিনি। আসলে আমি ব্যাটসম্যানদের গ্লাভস পাঠাতে বলছিলাম, তাই পিঠে হালকা টোকা দিই। এটাকে চড় বলা সম্পূর্ণ ভুল ব্যাখ্যা।’
এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক সহকারী কোচ নিক পোথাস ও স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথও। হেরাথ বলেন, ‘বিশ্বকাপে তার চারপাশে সবসময় ক্যামেরা ছিল। এমন কিছু ঘটলে তার ভিডিও বের হতোই।’ পোথাস যোগ করেন, ‘এটা খুবই স্পষ্ট যে, কেউ হয়তো তার প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে এ ধরনের অভিযোগ এনেছে।’
হাথুরুসিংহে মনে করেন, তাকে বরখাস্ত করা ছিল বিসিবির বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদের পরিকল্পিত পদক্ষেপ। ‘আমি জানি না, গত ছয় মাসে কতগুলো চাকরির সুযোগ হারিয়েছি। বিসিবি শুধু আমার চাকরি নয়, আমার পুরো কোচিং ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছে,’ বলেন তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বরখ স ত
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।