আ.লীগের ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় ৩ মামলা, গ্রেপ্তার ৪০
Published: 21st, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে খুলনার তিনটি থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেছে পুলিশ। দলটির ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্র করে সোমবার (২১ এপ্রিল) রাতে নগরীর হরিণটানা, আড়ংঘাটা ও খালিশপুর থানায় মামলাগুলো হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “তিনটি মামলার বাদী পুলিশ। এসব মামলায় ৪০ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।”
হরিণটানা থানার ওসি খায়রুল বাশার জানান, এসআই মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের ৭৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় নাম না জানা আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
রিকশায় তুলে ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা
অঝোরে কাঁদছেন পারভেজের মা
খালিশপুর থানার ওসি মো.
আড়ংঘাটা থানার ওসি তুহিন উজ জামান বলেন, “ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় থানার এসআই শেখ ইসতিয়াক বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরো ৩০-৪০ জন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া এন্ড সিপি) মোহা. আহসান হাবীব বলেন, নগরীর হরিণটানা থানায় ২২ জনকে, খালিশপুর থানায় ৭ জনকে এবং আড়ংঘাটা থানায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিছিলে অংশ নেওয়া কেসিসির লাইসেন্স অফিসার রবিউল ইসলাম রবিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর র ঘটন য় আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ
নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুজন হলেন রাবেয়া বসরী (২৩) ও তাঁর চার বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম। উদ্ধারের পর লাশ দুটি সুধারাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাবেয়া বসরীর স্বামী আবদুর রহমান ওরফে রুবেল (৩৮) পেশায় কসাই। রাবেয়া তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাবেয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম নিহত রাবেয়ার স্বামী আবদুর রহমানের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে আবদুর রহমান তাঁর ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ও স্ত্রী রাবেয়া বসরীর লাশ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। তিনি চিৎকার দিলে পাশের ঘর থেকে তাঁর ভাইসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে তিনিও (ইউপি) ওই বাড়িতে যান।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মা ও মেয়ের লাশ পৃথক দুটি রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। স্বামীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দেড়টার দিকে ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের কাপড়চোপড় এলোমেলো, কক্ষের ভেতর তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। তখন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।
এসআই লন্ডন চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্বামী আবদুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মা-মেয়ের মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।