সাতক্ষীরায় বসতঘর থেকে শতাধিক সাপের বাচ্চা ও ডিম উদ্ধার
Published: 22nd, April 2025 GMT
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি বাড়ির বসতঘর থেকে কালাচ সাপের শতাধিক বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের জাহানাজ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বসতঘর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।
মোখলেছুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার সকালে বসতঘরের পাশে কয়েকটি সাপের বাচ্চা চলাচল করতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি সেগুলো মেরে ফেলেন। সাপের বাচ্চা চলাচলে তাঁর সন্দেহ থাকায় আজ দুইটার দিকে একই গ্রামের সাপুড়ে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনেন। রফিকুল এসে ঘরের এক কোনা থেকে শতাধিক কালাচ সাপের বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করেন। পরে সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলা হয় ও ডিমগুলো নষ্ট করা হয়।
রফিকুল ইসলাম বলেন, কালাচ সাপ সাধারণত কাঁচা ঘরবাড়িতে কিংবা লেপ-তোশকের মধ্যে থাকে। এই সাপ কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাপ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাপ দেখলে প্রাণিসম্পদ অফিসে কিংবা তাঁদের খবর দিলে তা না মেরে ধরার পর বনে বা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেবেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শত ধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব’
ঘড়ির কাঁটায় তখন দুপুর ২টা ২০ মিনিট। মাথার ওপর প্রখর রোদের উত্তাপ। প্রচণ্ড গরমে ত্রাহি অবস্থায় একটু বিশ্রাম নিতে গাছের ছায়ার খোঁজে ক্লান্ত পথিক। এমন সময় ঘর্মাক্ত শরীরে একটি ভবন নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেল কয়েকজন শ্রমিককে। তাদের একজন তোঁতা মিয়া, অপরজন হাবিবুল।
হাবিবুল পাথর ভরেই যাচ্ছেন, তোঁতা মিয়া সেগুলো মাথায় করে একের পর এক টুড়ি ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট স্থানে। সেখানেও বালু-পাথরের মিশ্রণ করছেন আরও কয়েকজন। তাদের কর্মযজ্ঞের এক ফাঁকে কথা হয় তোঁতা মিয়ার সঙ্গে।
আলাপকালে তোঁতা মিয়া বলেন, ‘সারাদিন কাম (কাজ) কইরা ৫০০ ট্যাহা (টাকা) হাজিরা পাই। এইডি দিয়া কোনোমতে বউ-পুলাপান নিয়া দিন পার করতাছি। মে দিবস-টিবস কী কইতারতাম না। আমরার মতো গরিব মানুষ কাম না করলে পেডে ভাত জুটতো না এইডাই কইতারবাম।’
গতকাল বুধবার ঈশ্বরগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণকাজ করার সময় এসব কথা বলেন তোঁতা মিয়া (৪৫)। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার আকুয়া এলাকায়। এ সময় কথা হয় আরেক নির্মাণ শ্রমিক একাদুল মিয়ার সঙ্গে। একাদুলও জানেন না মে দিবস কী। তিনি বলেন, ‘এই কাম কইরা খাইয়া-না খাইয়া বউ-পুলাপান লইয়া কোনোরহমে দিন পার করতাছি। বর্তমান বাজারো জিনিসপাতির দাম বাড়লেও আমরার মজুরি বাড়ে না। পাঁচ বছর আগেও যা পাইতাম, অহনও তাই পাই।’ তিনি বলেন, ‘কয়েক ট্যাহা সঞ্চয় করবাম এই বাও (উপায়) নাই। অসুখ অইয়া চার দিন ঘরে পইড়া থাকলে না খাইয়া থাহন লাগব। আমরার এইতা দিবস-টিবস দিয়া কী অইব?’
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের এই দিনটি সারাবিশ্বের শ্রমিক শ্রেণির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বহির্বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে। কিন্তু যাদের অধিকার আদায়ের জন্য এ দিনটি পালন করা হয়– তারাই জানেন না দিবসটি সম্পর্কে। তাদের আরেকজন দিনমজুর রাজন মিয়া। রাজন জানান, এসব দিবসে তাদের মতো গরিব মানুষের কোনো লাভ-লোকসান নেই।