সাতক্ষীরা সদর উপজেলার একটি বাড়ির বসতঘর থেকে কালাচ সাপের শতাধিক বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ধুলিহর ইউনিয়নের জাহানাজ গ্রামের মোখলেছুর রহমানের বসতঘর থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়।

মোখলেছুর রহমান বলেন, গতকাল সোমবার সকালে বসতঘরের পাশে কয়েকটি সাপের বাচ্চা চলাচল করতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি সেগুলো মেরে ফেলেন। সাপের বাচ্চা চলাচলে তাঁর সন্দেহ থাকায় আজ দুইটার দিকে একই গ্রামের সাপুড়ে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনেন। রফিকুল এসে ঘরের এক কোনা থেকে শতাধিক কালাচ সাপের বাচ্চা ও শতাধিক ডিম উদ্ধার করেন। পরে সাপের বাচ্চাগুলো মেরে ফেলা হয় ও ডিমগুলো নষ্ট করা হয়।

রফিকুল ইসলাম বলেন, কালাচ সাপ সাধারণত কাঁচা ঘরবাড়িতে কিংবা লেপ-তোশকের মধ্যে থাকে। এই সাপ কামড়ালে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সাপ দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাপ দেখলে প্রাণিসম্পদ অফিসে কিংবা তাঁদের খবর দিলে তা না মেরে ধরার পর বনে বা অন্য কোনো নিরাপদ স্থানে ছেড়ে দেবেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শত ধ ক

এছাড়াও পড়ুন:

রাজবাড়ীতে পদ্মার এক ইলিশের দাম ১২ হাজার ৬০০ টাকা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় আজ শনিবার পদ্মা নদী থেকে ধরা ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার ৬০০ টাকায়। স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী জেলেদের কাছ থেকে ইলিশটি কিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্রি করেন।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শনিবার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুর এলাকার জেলে বাচ্চু হালদারসহ কয়েকজন পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে যান। তাঁরা দৌলতদিয়ার চর করনেশনা এলাকায় জাল ফেলেন। সকালে তাঁরা জাল গুছিয়ে নৌকায় তুলেই দেখতে পান বড় এক ইলিশ ধরা পড়েছে। এ ছাড়া তাঁদের জালে কয়েক দফায় আরও তিনটি ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ চারটি তাঁরা দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখের কাছে বিক্রি করেন।

দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, এর মধ্যে একটির ওজন ছিল ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম এবং অন্য তিন ইলিশের মোট ওজন ছিল প্রায় ৩ কেজি ১০০ গ্রাম। ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি ৫ হাজার টাকা কেজি দরে ১২ হাজার ১৫০ টাকা দিয়ে কেনেন। এ ছাড়া ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের অন্য তিনটি ইলিশ ৮ হাজার টাকায় কেনেন।

শাহজাহান শেখ ইলিশগুলো বিক্রির জন্য পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ছাড়া তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরে ঠাকুরগাঁওয়ের এক চাল ব্যবসায়ী কেনার আগ্রহ দেখালে বড় ইলিশটি ১২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। অন্য তিনটি ইলিশও তাঁর কাছে ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ