হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য ১৪টি বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে
Published: 23rd, April 2025 GMT
হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষদের আবাসনের জন্য রাজধানীর গণকটুলি সুইপার কলোনিতে দুটি ১০ তলা ভবন, মিরনজিল্লা সুইপার কলোনিতে দুটি ১০ তলা ভবন, ধলপুর এলাকায় নয়টি ১০ তলা ভবন এবং পোস্তগোলা এলাকায় একটি ৬ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ভবনের একটি ফ্লোরে হরিজন সম্প্রদায়ের শিশুদের লেখাপড়ার জন্য বিদ্যালয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর হাজারীবাগে সমাজকল্যাণ যুব সংঘ আয়োজিত ‘নিপীড়িত হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উপদেষ্টা বলেছেন, হরিজন সম্প্রদায়ের আবাসিক এলাকাগুলোতে ছোট করে হলেও খেলার মাঠ নির্মাণ করতে হবে, যা শিশুদের মাদক ও অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে রাখবে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েদের জন্য খেলনা সামগ্রী পাঠানো হবে। এলাকাগুলোতে মাদক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হাজারীবাগে দুটি মন্দিরের জন্য আধুনিক ভবন নির্মাণ ও মন্দির প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা রোধে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
হরিজন সম্প্রদায়ের জন্য সিটি কর্পোরেশনগুলোতে যেসব শূন্য পদ আছে, তা দ্রুত পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
মতবিনিময় সভায় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।