ঈদ উৎসব পেরিয়ে এবার আসছে অন্য এক প্রেমের নাটক ‘মেঘের বৃষ্টি’। যে গল্পে ফারহান আহমেদ জোভানকে দেখা যাবে আমেরিকা প্রবাসী এক যুবকের চরিত্রে। অন্যদিকে নাজনীন নীহাকে দেখা যাবে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে।

গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, আমেরিকা থেকে দেশে এসে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে মেঘ। তার মা তাকে প্রতিবারই দেশ থেকে কিছু পাঠালে মেয়েদের ছবি এবং নিজ হাতে তাদের বৃত্তান্ত লিখে পাঠায়। অনিচ্ছাতেও সেখান থেকে মেঘ একটা খাম খোলে। যার নাম ঋতু। তার জীবনবৃত্তান্তে মা লিখেছেন, ‘মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ে। খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে। সাধারণত বোরকা-হিজাব ছাড়া বাসা থেকে বের হয় না। নামাজি, কম কথা বলে। আমার ধারণা এ মেয়ে তোরে জ্বালাবে না, তোর মুখের ওপর কথা বলবে না। তোর কথায় উঠবস করবে। শুধু একটাই সমস্যা, মেয়ের কোনও ভাই-বোন নাই। তার মানে তুই শালা-শালীর সাথে মজা করার সুযোগ পাবি না। অবশ্য সবকিছু একসাথে পাওয়া যায় না। মেয়ের রেটিং ১০-এর মধ্যে ১০।’

মায়ের বর্না নয়, বরং ঋতুর ছবি এক দেখাতেই পছন্দ হয় মেঘের। সে সিদ্ধান্ত নেয় দেশে গিয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে। তার কিছুদিনপরই সে দেশে আসে এবং ঋতুর সাথে দেখা করে। কিন্তু তার মা জীবনবৃত্তান্তে যা বলেছে, ঋতু তার উল্টো!

এখানে মেঘ চরিত্রে জোভান আর ঋতু চরিত্রে নীহা অভিনয় করেছেন। ইমদাদ বাবুর গল্প ও চিত্রনাট্যে সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটি বানিয়েছেন মাসরিকুল আলম।

নির্মাতা জানান, এটা দুর্দান্ত একটি প্রেমের গল্প। তবে তাতে রয়েছে বিরহের স্বাদও।

প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ উৎসবে টানা ১৪টি বিশেষ নাটক মুক্তি পেয়েছে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে। সেসব থেকে দারুণ সাড়া মিলছে এখনও। তবে ঈদ উৎসবের আমেজ পেরিয়ে ফের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। তারেই শুরুটা হচ্ছে ‘মেঘের বৃষ্টি’ দিয়ে। এটি দ্রুতই মুক্তি পাবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক