আর্সেনালের ড্র, শিরোপা উৎসবের অপেক্ষায় লিভারপুল
Published: 24th, April 2025 GMT
আর্সেনালের হোঁচট লিভারপুলকে আরও কাছ নিয়ে এলো শিরোপার উৎসবে। এমিরেটস স্টেডিয়ামে ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে দুইবার এগিয়েও জয় ধরে রাখতে পারেনি গানাররা। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ফলে আর মাত্র এক পয়েন্ট পেলেই রেকর্ড ছোঁয়া প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি উঠবে লিভারপুলের হাতে।
লিভারপুল ভক্তদের চোখ ছিল এই ম্যাচে। আর্সেনাল হেরে গেলে আগেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যেত অলরেডদের। যদিও তা হয়নি, তবে প্যালেসের দাপটে লিগের শিরোপা লিভারপুলের একদম নাগালের মধ্যে এসে গেছে।
৩৪ ম্যাচে ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে লিভারপুলের সংগ্রহ ৭৯ পয়েন্ট। হাতে আছে আরও পাঁচটি ম্যাচ। কিন্তু লিভারপুল যদি বাকি সব ম্যাচেই হেরে যায়, তবুও আর্সেনাল তাদের চার ম্যাচে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়েও অলরেডদের টপকে যেতে পারবে না। অর্থাৎ, শিরোপা নিশ্চিত করতে লিভারপুলের প্রয়োজন আর মাত্র এক পয়েন্ট।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য আর্সেনাল আক্রমণাত্মক ছিল। তৃতীয় মিনিটেই জ্যাকব কিউইয়রের গোলে এগিয়ে যায় তারা। আধঘণ্টা হওয়ার আগেই এবেরেচি এজের গোলে সমতা ফেরায় প্যালেস। বিরতির আগে লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ডের গোলে আবার লিড নেয় স্বাগতিকরা। তবে শেষের দিকে নাটক জমে ওঠে। ৮৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় জ্য ফিলিপ্পে মাতেতা আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়ার ওপর দিয়ে বল জালে পাঠিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরান।
শেষ পর্যন্ত আর গোল না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হয় দুই দলকে। এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে লিভারপুল, যাদের সামনে এখন শিরোপা উৎসবের জন্য অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিকতার। আগামী রোববার টটেনহামের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা, সেখানে হার এড়ালেই ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে আর্নে স্লটের দল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’