আলোচিত নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘গুলমোহর’ আসছে চরকিতে। নির্মাতা হিসেবে এটি তাঁর তৃতীয় ওয়েব সিরিজ, আর চরকির সঙ্গে প্রথম কাজ। ‘গুলমোহর’ সিরিজের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর পর পর্দায় ফিরছেন শাওকী। নির্মাতার ভাষ্যে, ‘নির্মাতা হিসেবে “গুলমোহর” আমার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় স্কেলের কাজ। এমন একটা ফিকশনের জন্য সময়টা দরকার ছিল।’

‘তাকদীর’ ও ‘কারাগার’–এর মতো জনপ্রিয় সিরিজ নির্মাণের পর ওটিটির দর্শকের কাছে নির্মাতা হিসেবে শাওকী তাঁর নাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন বেশ ভালোভাবেই। তাই তাঁর নতুন কাজ দেখার আগ্রহ রয়েছে দর্শকদের, আছে প্রত্যাশাও। কিন্তু নতুন কাজে আগের কোনো কিছুতে প্রভাবিত হননি পরিচালক, নেননি কোনো প্রত্যাশার চাপ। বলেন, ‘আগের দুই সিরিজ দেখে দর্শকের যে প্রত্যাশা, সেগুলো মাথায় রাখিনি। ওগুলো মাথায় রাখলে আবার আগের কাজের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওটিটির দর্শকেরা বারবার নতুন কিছু দেখতে চান।’ “গুলমোহর” সিরিজে নতুন বিষয় নিয়ে ডিল করেছি।’

কেমন গল্প নিয়ে ফিরবেন শাওকী—এমন প্রশ্ন ছিল দর্শকদের। শাওকীর সহজ উত্তর, ‘এখন তো ডার্ক মিস্ট্রি টাইপ কাজ বেশি হচ্ছে, তাই আমি চেয়েছিলাম একটা ফ্যামিলি মিস্ট্রির গল্প বলতে।’

‘গুলমোহর’ সিরিজের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর পর পর্দায় ফিরছেন শাওকী। চরকির সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ