‘কারাগার’ নির্মাতা এবার আসছেন ‘গুলমোহর’ নিয়ে
Published: 24th, April 2025 GMT
আলোচিত নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী পরিচালিত ওয়েব সিরিজ ‘গুলমোহর’ আসছে চরকিতে। নির্মাতা হিসেবে এটি তাঁর তৃতীয় ওয়েব সিরিজ, আর চরকির সঙ্গে প্রথম কাজ। ‘গুলমোহর’ সিরিজের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর পর পর্দায় ফিরছেন শাওকী। নির্মাতার ভাষ্যে, ‘নির্মাতা হিসেবে “গুলমোহর” আমার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় স্কেলের কাজ। এমন একটা ফিকশনের জন্য সময়টা দরকার ছিল।’
‘তাকদীর’ ও ‘কারাগার’–এর মতো জনপ্রিয় সিরিজ নির্মাণের পর ওটিটির দর্শকের কাছে নির্মাতা হিসেবে শাওকী তাঁর নাম প্রতিষ্ঠিত করেছেন বেশ ভালোভাবেই। তাই তাঁর নতুন কাজ দেখার আগ্রহ রয়েছে দর্শকদের, আছে প্রত্যাশাও। কিন্তু নতুন কাজে আগের কোনো কিছুতে প্রভাবিত হননি পরিচালক, নেননি কোনো প্রত্যাশার চাপ। বলেন, ‘আগের দুই সিরিজ দেখে দর্শকের যে প্রত্যাশা, সেগুলো মাথায় রাখিনি। ওগুলো মাথায় রাখলে আবার আগের কাজের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওটিটির দর্শকেরা বারবার নতুন কিছু দেখতে চান।’ “গুলমোহর” সিরিজে নতুন বিষয় নিয়ে ডিল করেছি।’
কেমন গল্প নিয়ে ফিরবেন শাওকী—এমন প্রশ্ন ছিল দর্শকদের। শাওকীর সহজ উত্তর, ‘এখন তো ডার্ক মিস্ট্রি টাইপ কাজ বেশি হচ্ছে, তাই আমি চেয়েছিলাম একটা ফ্যামিলি মিস্ট্রির গল্প বলতে।’
‘গুলমোহর’ সিরিজের মাধ্যমে প্রায় তিন বছর পর পর্দায় ফিরছেন শাওকী। চরকির সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।