নদীতে ড্রেজার, বিলীনের ঝুঁকিতে কৃষিজমি-রাস্তাঘাট
Published: 24th, April 2025 GMT
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নে ধলাই নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় অন্তত ১৮টি পরিবারের বসতঘর নদীতে পুরোপুরি ও আংশিক বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর।
সরেজমিনে দেখা যায়, রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের গা ঘেঁষে ধলাই নদী প্রবাহিত। নদী থেকে ইজারাগ্রহীতারা দীর্ঘদিন ধরে বালু তুলে আসছেন। ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় ধলাই নদীর তলদেশ গভীর হয়ে উঠেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল স্রোতে নদীর তীর ধসে পড়তে শুরু করে। গত কয়েক বছরে এভাবে নদীর তীর ধসে ওই গ্রামের আইন উদ্দীন, হাজী দুর্নদ মিয়া, হাবিল মিয়া, শামসুল ইসলাম, মো.
নদীভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে গ্রামের কুটি মিয়া, সোনা মিয়া অন্যত্র গিয়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারের কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। এছাড়া বালু তোলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকে বালু ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি ও মামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ধর্মপুরের ধলাই নদী থেকে একটি চক্র অব্যাহতভাবে বালু তুলেছে। গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে নতুন একটি চক্র সেখান থেকে বালু তুলতে শুরু করে। স্থানীয়দের অভিযোগের পর উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি ওই স্থান থেকে বালু উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।
ইউএনও মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ধলাই নদীতে স্রোতে অনেকের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে সেখান থেকে বালু তোলা বন্ধ করা হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নদ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজবাড়ীতে পদ্মার এক ইলিশের দাম ১২ হাজার ৬০০ টাকা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় আজ শনিবার পদ্মা নদী থেকে ধরা ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১২ হাজার ৬০০ টাকায়। স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী জেলেদের কাছ থেকে ইলিশটি কিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্রি করেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, শনিবার সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুর এলাকার জেলে বাচ্চু হালদারসহ কয়েকজন পদ্মা নদীতে মাছ শিকারে যান। তাঁরা দৌলতদিয়ার চর করনেশনা এলাকায় জাল ফেলেন। সকালে তাঁরা জাল গুছিয়ে নৌকায় তুলেই দেখতে পান বড় এক ইলিশ ধরা পড়েছে। এ ছাড়া তাঁদের জালে কয়েক দফায় আরও তিনটি ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ চারটি তাঁরা দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখের কাছে বিক্রি করেন।
দৌলতদিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট এলাকার মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ বলেন, এর মধ্যে একটির ওজন ছিল ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম এবং অন্য তিন ইলিশের মোট ওজন ছিল প্রায় ৩ কেজি ১০০ গ্রাম। ২ কেজি ৪৩০ গ্রাম ওজনের ইলিশটি ৫ হাজার টাকা কেজি দরে ১২ হাজার ১৫০ টাকা দিয়ে কেনেন। এ ছাড়া ৩ কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের অন্য তিনটি ইলিশ ৮ হাজার টাকায় কেনেন।
শাহজাহান শেখ ইলিশগুলো বিক্রির জন্য পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ ছাড়া তাঁর ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। পরে ঠাকুরগাঁওয়ের এক চাল ব্যবসায়ী কেনার আগ্রহ দেখালে বড় ইলিশটি ১২ হাজার ৬০০ টাকায় বিক্রি করেন। অন্য তিনটি ইলিশও তাঁর কাছে ২ হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে ৮ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেন।