ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘এসিআই নিউট্রিলাইফ প্রেজেন্টস হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং মার্কেটিং ফেস্ট ২.০’। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেলে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা এবং সুস্থতা খাতের প্রধান নির্বাহী, চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, ব্র্যান্ড পেশাজীবী এবং মার্কেটিয়ারেরা একত্র হয়েছিলেন। এবারের মূল ভাবনা ছিল “বিল্ডিং ব্র্যান্ডস দ্যাট হিল, হারনেস অ্যান্ড হারমোনাইজ”। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল এই প্রশ্ন, ব্র্যান্ড কেবল পণ্য নয়, তারা কীভাবে সমাজে সুস্থতা ও সহমর্মিতা তৈরির শক্তি হয়ে উঠতে পারে। এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল সুখী ও আকিজ হেলথপ্লাস এবং অংশীদার হিসেবে ছিল একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।

এই আয়োজনে ৯টি আলোচনায় ২৯ জন বক্তা অংশ নেন, যেখানে উঠে আসে স্বাস্থ্যসেবার ব্র্যান্ডিং, গ্রাহকের আস্থা অর্জন, প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা, ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তি এবং সচেতনতা-ভিত্তিক বিপণনের বিভিন্ন দিক। একইসাথে প্রকাশিত হয় সিএমও বাংলাদেশ সাময়িকীর দ্বিতীয় সংখ্যা, যেখানে স্থান পেয়েছে বাজারচিন্তার সর্বশেষ উদ্ভাবন এবং ১০ জন শীর্ষ মার্কেটিয়ারের জীবন ও অভিজ্ঞতা।

অনুষ্ঠান নিয়ে এসিআই নিউট্রিলাইফের চিফ বিজনেস অফিসার ফারিয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের ব্র্যান্ডের মূল লক্ষ্য। এই ধরনের আয়োজন সমাজে টেকসই পরিবর্তনের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।’

গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সল্যুশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.

আহমেদ আরমান সিদ্দিকী বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও সুস্থতা এখন আর ঐচ্ছিক নয়, এটি ব্র্যান্ডের মানবিক সংযোগের অন্যতম স্তম্ভ। এই আয়োজন ব্র্যান্ডগুলোর দৃষ্টিভঙ্গিতে দায়িত্ববোধের নতুন মাত্রা যোগ করেছে।’

আকিজ হেলথপ্লাসের হেড অব অপারেশনস মো. সাঈদুর রহমান তুষার বলেন, ‘এই ফেস্ট এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সত্যিকারের কেয়ার করে এমন মানুষরা একত্র হয়েছেন। আমরা এখানে এসেছি অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে মানুষের জীবনে কার্যকর পরিবর্তন আনতে।’

একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বিপণন প্রধান সৈয়দা উম্মে সালমা বলেন, ‘এই উৎসব আমাদের বিশ্বাস ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবার ব্র্যান্ড হিসেবে আমরা চাই কার্যকর উদ্যোগের পাশে দাঁড়াতে, যা মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।’

এই আয়োজন সম্পর্কে ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা মুহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিষয়ক ব্র্যান্ডিং কেবল প্রচার নয়, এটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলার একটি উপায়। স্বাস্থ্যখাতের ব্র্যান্ডগুলোকে আরও মানবিক ও টেকসই পথে এগিয়ে নেওয়ার এই যাত্রায় যারা সহযাত্রী হয়েছেন, সেই সব স্পন্সর, পার্টনার, বক্তা এবং অংশগ্রহণকারীদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক, কর্পোরেট কোচ ফেরদৌস বাপ্পী। আয়োজনের সমাপ্তি বক্তব্যে ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান খাদিজা আল তাহিরা চৌধুরী বলেন, ‘আজকের হেলথ মার্কেটিং ফেস্ট থেকে আমরা হেলথ ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করার একটি রুপরেখা পেয়েছি। অংশগ্রহণকারীদের সহযোগিতা এবং স্পন্সরদের আন্তরিকতা আমাদের এই পথচলায় আশাবাদী করেছে।’

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জ বন অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

যে কারণে সালাহ-ফন ডাইকদের কাছে এই শিরোপা বিশেষ

একসময় ইংলিশ ফুটবলের রাজা তারাই ছিল। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত তো বলতে গেলে লিভারপুলেরই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে। তখন অবশ্য নামটা প্রিমিয়ার লিগ ছিল না, ছিল প্রথম বিভাগ লিগ। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ নাম হওয়ার পর থেকে যেন লিভারপুলের দুর্ভাগ্যের শুরু। প্রথম বিভাগ যুগে ১৮টি লিগ জেতা লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ যুগে এসে জিততেই ভুলে গেল!

প্রিমিয়ার লিগে শুরু হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একচ্ছত্র রাজত্ব। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীন ১৩বার লিগ জিতে ইউনাইটেডের মোট লিগ শিরোপা হয়ে গেল ২০টি। লিভারপুলকে পেরিয়ে তারা হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব।

ইউনাইটেডের সেই আধিপত্যও শেষ হলো ২০১৩ সালে ফার্গুসনের অবসরের পর। কিন্তু রাজত্ব ফিরে পেল না লিভারপুল। ইংলিশ ফুটবলের নতুন রাজা হয়ে ওঠল ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীন সর্বশেষ সাত মৌসুমে ছয়বার শিরোপা জিতে সিটি একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়তে থাকল।

আরও পড়ুনলাল সমুদ্রে গোল উৎসবে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল১১ ঘণ্টা আগে

মাঝে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৩০ বছর পর লিভারপুল পেল ইংলিশ লিগের শিরোপার স্বাদ। তবে পৃথিবী তখন করোনা মহামারি চলছে। শিরোপা উৎসব হলো না লিভারপুলের মনের মতো।

এবার আর্নে স্লটের অধীন প্রথম মৌসুমেই আবার চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সেটাও কী রাজকীয়ভাবে! চার ম্যাচ হাতে রেখে, নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে, ভরা গ্যালারির সামনে। লিভারপুলের এটি ২০তম লিগ শিরোপা, ইউনাইটেডের সঙ্গে যৌথভাবে তারাও এখন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব।

ইতিহাস গড়া এই ট্রফি জেতার পর কী বলছেন লিভারপুলের খেলোয়াড়েরাকোডি গাকপোর উদ্‌যাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জবি ছাত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় আটক তরুণ
  • সুইডেনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩
  • চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও লিভারপুলের কোন খেলোয়াড়েরা পদক পাবেন না
  • বিশ্বের বড় বড় উৎসব কোথায় হয়
  • প্রাগে পুরস্কৃত ‘নট আ ফিকশন’,অনলাইনে মুক্তি ১ মে
  • ফসলের ক্ষেতে আশার আলো
  • কানে ‘আলী’, দায়িত্ব নিলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়
  • এবার লন্ডনে পুরস্কার জিতল ‘প্রিয় মালতি’
  • আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে চকলেট
  • যে কারণে সালাহ-ফন ডাইকদের কাছে এই শিরোপা বিশেষ