অনুষ্ঠিত হলো ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং মার্কেটিং ফেস্ট ২.০’
Published: 26th, April 2025 GMT
ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘এসিআই নিউট্রিলাইফ প্রেজেন্টস হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং মার্কেটিং ফেস্ট ২.০’। ২৫ এপ্রিল শুক্রবার রেনেসাঁ ঢাকা গুলশান হোটেলে আয়োজিত এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসবে স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা এবং সুস্থতা খাতের প্রধান নির্বাহী, চিকিৎসক, পুষ্টিবিদ, ব্র্যান্ড পেশাজীবী এবং মার্কেটিয়ারেরা একত্র হয়েছিলেন। এবারের মূল ভাবনা ছিল “বিল্ডিং ব্র্যান্ডস দ্যাট হিল, হারনেস অ্যান্ড হারমোনাইজ”। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল এই প্রশ্ন, ব্র্যান্ড কেবল পণ্য নয়, তারা কীভাবে সমাজে সুস্থতা ও সহমর্মিতা তৈরির শক্তি হয়ে উঠতে পারে। এই আয়োজনের সহযোগিতায় ছিল সুখী ও আকিজ হেলথপ্লাস এবং অংশীদার হিসেবে ছিল একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
এই আয়োজনে ৯টি আলোচনায় ২৯ জন বক্তা অংশ নেন, যেখানে উঠে আসে স্বাস্থ্যসেবার ব্র্যান্ডিং, গ্রাহকের আস্থা অর্জন, প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা, ডিজিটাল স্বাস্থ্য প্রযুক্তি এবং সচেতনতা-ভিত্তিক বিপণনের বিভিন্ন দিক। একইসাথে প্রকাশিত হয় সিএমও বাংলাদেশ সাময়িকীর দ্বিতীয় সংখ্যা, যেখানে স্থান পেয়েছে বাজারচিন্তার সর্বশেষ উদ্ভাবন এবং ১০ জন শীর্ষ মার্কেটিয়ারের জীবন ও অভিজ্ঞতা।
অনুষ্ঠান নিয়ে এসিআই নিউট্রিলাইফের চিফ বিজনেস অফিসার ফারিয়া ইয়াসমিন বলেন, ‘স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি নিয়ে সচেতনতা তৈরি করাই আমাদের ব্র্যান্ডের মূল লক্ষ্য। এই ধরনের আয়োজন সমাজে টেকসই পরিবর্তনের ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে।’
গ্রামীণ ডিজিটাল হেলথকেয়ার সল্যুশনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা.
আকিজ হেলথপ্লাসের হেড অব অপারেশনস মো. সাঈদুর রহমান তুষার বলেন, ‘এই ফেস্ট এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সত্যিকারের কেয়ার করে এমন মানুষরা একত্র হয়েছেন। আমরা এখানে এসেছি অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে মানুষের জীবনে কার্যকর পরিবর্তন আনতে।’
একেএস খান ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের বিপণন প্রধান সৈয়দা উম্মে সালমা বলেন, ‘এই উৎসব আমাদের বিশ্বাস ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবার ব্র্যান্ড হিসেবে আমরা চাই কার্যকর উদ্যোগের পাশে দাঁড়াতে, যা মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে।’
এই আয়োজন সম্পর্কে ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা মুহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিষয়ক ব্র্যান্ডিং কেবল প্রচার নয়, এটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলার একটি উপায়। স্বাস্থ্যখাতের ব্র্যান্ডগুলোকে আরও মানবিক ও টেকসই পথে এগিয়ে নেওয়ার এই যাত্রায় যারা সহযাত্রী হয়েছেন, সেই সব স্পন্সর, পার্টনার, বক্তা এবং অংশগ্রহণকারীদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক, কর্পোরেট কোচ ফেরদৌস বাপ্পী। আয়োজনের সমাপ্তি বক্তব্যে ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের ব্র্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান খাদিজা আল তাহিরা চৌধুরী বলেন, ‘আজকের হেলথ মার্কেটিং ফেস্ট থেকে আমরা হেলথ ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করার একটি রুপরেখা পেয়েছি। অংশগ্রহণকারীদের সহযোগিতা এবং স্পন্সরদের আন্তরিকতা আমাদের এই পথচলায় আশাবাদী করেছে।’
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জ বন অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।