ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের এক ম্যাচে ম্যাচ রেফারির প্রদত্ত শাস্তিমূলক সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ এবং বাইলজ পরিবর্তনের অভিযোগে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স অ্যান্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী মো. ইউসা মিশু।

সংবাদ বিবৃতিতে তিনি জানান, বাংলাদেশের একমাত্র আইসিসি এলিট প্যানেল আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতকে অপমানিত করার ঘটনায় তিনি গভীরভাবে হতাশ ও বিস্মিত। কাজী মিশু বলেন,‘ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশে একটি স্বচ্ছ ক্রিকেট কাঠামোর স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে, অতীতের অনিয়ম ও বিতর্ক এখনো ক্রিকেটে বিদ্যমান।

তিনি অভিযোগ করেন, খেলার আগের দিন রাতে আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যানের নির্দেশে শাস্তির বিধান কমানো হয়, যা ম্যাচ অফিসিয়ালদের মর্যাদাকে চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে। ডিপিএলের একটি দলকে সন্তুষ্ট করতে গিয়ে এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

কাজী মিশু আরও বলেন, ‘গত পনেরো বছর ধরে আম্পায়ারদের স্বার্থরক্ষায় আমি লড়াই করেছি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বিগত বোর্ডের 'প্রেত্মাতারা' আবারো ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে। এতে ভবিষ্যৎ ক্রিকেট ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমি গভীরভাবে শঙ্কিত।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল আম প য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ