রাজধানীর উত্তরায় রেললাইনে সেলফি তোলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন তরুণ ও তরুণী। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণের নাম মো. মাসুম (২৫), তরুণী হলেন ইতি আক্তার (২২)।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য তাঁদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

জয়নাল আবেদীন বলেন, আজ সন্ধ্যায় ঢাকার কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যখন উত্তরার আজমপুর এলাকা অতিক্রম করে যাচ্ছিল, তখন মাসুম ও ইতি আক্তার রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিলেন। কিন্তু ট্রেন আসার আগে তাঁরা সরে যেতে পারেননি। এরই মধ্যে সেই ট্রেনের নিচেই দুজনে কাটা পড়েন। ঘটনাস্থলে মারা যান ইতি আক্তার। আর মাসুমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকার রেলওয়ে থানার ওসি জয়নাল বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মাসুম ও ইতি থাকতেন দক্ষিণখান এলাকায়। মাসুমের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ আর ইতির নেত্রকোনায়। দুজনই পোশাক কারখানায় চাকরি করার জন্য সম্প্রতি গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। আগে থেকে দুজন পূর্বপরিচিত। আজ সন্ধ্যায় তাঁরা উত্তরার আজমপুর এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন।

মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন দিয়ে হাঁটার কারণে অসাবধানতাবশত প্রায় রেলে কাটা পড়ে মারা যাচ্ছে মানুষ। আবার রেললাইনে সেলফি তুলতে গিয়েও মানুষ মারা যাচ্ছে। ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে রেললাইনে সতর্কভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় বিকেলে বৈঠকে বসছে কমিটি

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ পর্যালোচনায় আজ সোমবার বিকেল ৪টায় বৈঠকে বসছে এ সংক্রান্ত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি। জাতিসংঘের গুমবিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ  কথা বলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আজ বিকেল ৪টায় মিটিংয়ে বসছি। সেখানে তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করব। আমরা সুপারিশগুলো উপদেষ্টা পরিষদে তুলব। সরকারি কর্মচারী ভাইদের বলব, সরকারি কাজে যেন ব্যাঘাত না ঘটে। আমাদের সিদ্ধান্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।’

তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ পুনরায় বিবেচনার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। অবশ্যই এটা পুনরায় বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা বিড়ম্বনার শিকার হতে পারেন এমন কিছু করা হবে না। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

গত ৪ জুন এ অধ্যাদেশ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ। এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ