বগুড়ায় একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম দিলেন জুঁই
Published: 26th, April 2025 GMT
বগুড়ায় একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন জান্নাতি আকতার জুঁই (৩৫)। গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টায় টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে চার সন্তানের জন্ম দেন।
জুঁই বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাহারপুকুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী শরিফুল ইসলামের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টিএমএসএম মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা.
আরো পড়ুন:
তিন বোনকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবীতে আসলো সিয়াম
একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন আকলিমা, সকলে সুস্থ
এ বিষয়ে জান্নাতির খালা মোসলেমা বেগম জানান, প্রসব ব্যথা উঠার পর শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে জুঁইকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার পুত্র সন্তান জন্ম হয়। জান্নাতিদের সংসারে ৮ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
ডা. মনোয়ারা খাতুন জানান, শুক্রবার ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় গর্ভে চারটি সন্তান রয়েছে এবং তাদের বয়স ৩২ সপ্তাহ। রোগীর অবস্থা ভালো না থাকায় পাঁচ সপ্তাহ আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করানো হয়। চারটি সন্তান ও মা সুস্থ রয়েছেন। নবজাতকদের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/এনাম/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা