ঝিনাইদহের মহেশপুর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে এক বাংলাদেশির আঘাতপ্রাপ্ত মরদেহ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি। তবে নিহতের পরিচয় জানাতে পারেনি বিজিবি। 

জানা যায়, ভারতের মধুপুর এলাকা এবং এর বিপরীতে বাংলাদেশের গোপালপুর গ্রাম ও ৪৮ নম্বর মেইন পিলার সংলগ্ন এলাকায় মরদেহটি পাওয়া যায়। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গেল রাতে চোরাকারবারের জন্য কিছু বাংলাদেশি মহেশপুর সীমান্তের যাদবপুর এলাকা সংলগ্ন গোপালপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। সেসময় কয়েকজন চোরাকারবারীর সঙ্গে বিএসএফ এর বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সীমান্তের ওপারে কারো দ্বারা তারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে আজ সকালে সীমান্তের ভারতের অভ্যন্তরে কাটাতারের ওপারে আঘাতপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া যায়। 

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ বিজিবি ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, সকাল ১০টার দিকে বিএসএফ মারফত আমরা জানতে পারি সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলার হতে ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে আছে। তবে ভারতের অভ্যন্তরে হওয়াই তার পরিচয় আমরা জানতে পারিনি। পরবর্তীতে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানালে তখন বিস্তারিত জানা যাবে। 

স্থানীয় যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন জানান, মৃতদেহটি গোপালপুর গ্রামের ওবায়দুলের বলে আমরা জেনেছি। ঘটনাটি রাত ১ টার দিকে ঘটে। সে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে। তবে কারা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হতে পারিনি। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ বর ড র গ র ড ব ল দ শ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৩

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগঞ্জ সীমান্তে পুশইনের সময় তিনজনকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের একজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিক।

বিজিবি জানায়, তেঁতুলিয়া পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩০/২ এস থেকে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুচ্ছগ্রাম থেকে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৩২/পুরোহিতগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চান্দাপাড়া এলাকা থেকে বিএসএফের পুশইন করা দুইজন নারী ও একজন পুরুষকে আটক করে বিজিবির টহলদল।

আটক বাংলাদেশি হলেন কোরবান গাজী (৩৩)। তিনি যশোর জেলার শাশসা থানার বড় কলোনি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে। ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- মোছা. নাজমা (২৭) ও এবং মোছা. ফারজানা (২৩)। নাজমা পালঘর জেলার বুড়িগুলি থানার পোস্ট-পেলার কান্দেওয়ালি গ্রামের ইয়াসিন সরকারের মেয়ে এবং ফারজানা পালঘর জেলার ধানিউ থানার পোস্ট-পালঘাট-ভাসাই গ্রামের মারফত আলী গাজীর মেয়ে।

আটককৃত ব্যক্তিদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাত ভারতীয়সহ আরও ৪৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পাটগ্রাম সীমান্তে ফের ৬ জনকে পুশইন করল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে পুশইন
  • ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে আরো ২৩ জনেকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • চার ভারতীয়সহ ১৬ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ১৬ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো বিএসএফ
  • দুই সীমান্ত দিয়ে ২৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
  • তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৩
  • বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে দিলো বিএসএফ