জিম্বাবুয়ের সাথে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের ভেন্যুও
Published: 27th, April 2025 GMT
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। সিরিজ হার এড়াতে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অবশ্যই জয় পেতে হবে টাইগারদের। ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে।
তবে সিরিজ হার ঠেকানোর মিশনে বাংলাদেশের সামনে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে চট্টগ্রামের ভেন্যুও। এই ভেন্যুতে সাত বছর ধরে কোন টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বরে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা।
২০১৮ সালের পর চট্টগ্রামের ভেন্যুতে সাত টেস্ট খেলে ৬টিতে হার ও ১টিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানে পরাজিত হয় টাইগাররা। ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে পরাজিত হয়। ঐ ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হলেও বোলাররা জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন। একই বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হেরে যায়।
পরের বছর এই ভেন্যুতে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দু’দলের ব্যাটারদের ব্যাটিং নৈপুন্যে টেস্টটি ড্র হয়। শ্রীলংকার হয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ১৯৯, বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবাল ১৩৩ ও মুশফিকুর রহিম ১০৫ রান করেন। লংকানদের বিপক্ষে এক ইনিংস ব্যাটিং করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ৪৬৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ঐ বছরের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমে ১৮৮ রানে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে ১৫০ ও ৩২৪ রান করেছিল টাইগাররা।
গেল বছর চট্টগ্রামের ভেন্যুতে দু’টি টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। মার্চে অনুষ্ঠিত শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে ১৯২ রানে হার মানে টাইগাররা। দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১৭৮ ও ৩১৮ রান করেছিল তারা। এরপর অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে ব্যাটিং পারফরমেন্সে ইনিংস ও ২৭৩ রানে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে ১৫৯ ও ১৪৩ রান করেছিল স্বাগতিকরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
নোবিপ্রবির আওয়ামীপন্থি কর্মকর্তা স্থায়ী বহিষ্কার
আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়াকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরো পড়ুন:
জুলাই বিরোধিতা: ইবির ৩০ শিক্ষক-কর্মচারী ও ৩৩ ছাত্রলীগ নেতার ‘শাস্তি’
আ.লীগে যোগ দেওয়া মুবিনকে আইনজীবী ফোরাম থেকে বহিষ্কার
সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিষ্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া অননুমোদিতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিত বিদেশে গমন করেন, যা সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’ ।
এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় ‘নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১’ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন।
নোটিশে আরো বলা হয়েছে, গত ২৮ মে আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই বিজ্ঞ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭ তম সভার আলোচ্যসূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নোয়াখালী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আওয়ামী রাজনীতির বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে থাকেন এই কর্মকর্তা।
ঢাকা/শফিউল্লাহ/মেহেদী