জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। সিরিজ হার এড়াতে আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অবশ্যই জয় পেতে হবে টাইগারদের। ম্যাচটি হবে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে।

তবে সিরিজ হার ঠেকানোর মিশনে বাংলাদেশের সামনে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে চট্টগ্রামের ভেন্যুও। এই ভেন্যুতে সাত বছর ধরে কোন টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নভেম্বরে টেস্ট জিতেছিল টাইগাররা। 

২০১৮ সালের পর চট্টগ্রামের ভেন্যুতে সাত টেস্ট খেলে ৬টিতে হার ও ১টিতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের কাছে ২২৪ রানে পরাজিত হয় টাইগাররা। ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে পরাজিত হয়। ঐ ম্যাচে ব্যাটিং ভালো হলেও বোলাররা জয় এনে দিতে ব্যর্থ হন। একই বছরের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও বাংলাদেশ ৮ উইকেটে হেরে যায়।

পরের বছর এই ভেন্যুতে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দু’দলের ব্যাটারদের ব্যাটিং নৈপুন্যে টেস্টটি ড্র হয়। শ্রীলংকার হয়ে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ১৯৯, বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবাল ১৩৩ ও মুশফিকুর রহিম ১০৫ রান করেন। লংকানদের বিপক্ষে এক ইনিংস ব্যাটিং করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ৪৬৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ঐ বছরের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে খেলতে নেমে ১৮৮ রানে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে ১৫০ ও ৩২৪ রান করেছিল টাইগাররা।

গেল বছর চট্টগ্রামের ভেন্যুতে দু’টি টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। মার্চে অনুষ্ঠিত শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে ১৯২ রানে হার মানে টাইগাররা। দুই ইনিংসে যথাক্রমে- ১৭৮ ও ৩১৮ রান করেছিল তারা। এরপর অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাজে ব্যাটিং পারফরমেন্সে ইনিংস ও ২৭৩ রানে টেস্ট হারে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে ১৫৯ ও ১৪৩ রান করেছিল স্বাগতিকরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষ চিন্তা করতে পারেনি, তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছিল, আমরাও তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে। এক বছর আগেও মানুষ চিন্তা করতে পারেনি যে তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু আজ সারা দেশের জনগণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং ইচ্ছেমতো কেড়েও নেন। তা আমরা জুলাই বিপ্লবে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছি।’

আজ সোমবার সন্ধ্যায় খুলনার খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘সহযোগী সদস্য সংগ্রহ অভিযান-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথাগুলো বলেন।

২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচন নিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা ষড়যন্ত্র করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করেছিল। কেউ নির্বাচনে যায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায়। যেখানে রাতেই ভোট হয়ে গিয়েছিল। আর এসব নির্বাচনে হাসিনাকে সঙ্গ দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আমরা একটা কালো যুগ পার করেছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের সব অধিকার হরণ করেছিল। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। মানুষকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দেয়নি। তারা মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যারা হাত-পা হারিয়েছে, যারা নির্যাতিত হয়েছে, তারা কখনোই এসব খুনিকে ক্ষমা করবে না। খুনিদের বিচার করতে হবে এবং সব স্তরে সংস্কার করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে, যেখানে কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থাকবে না। নির্বাচন জনগণের অধিকার। জনগণই তাঁদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যাঁরা নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার করতে চাইবেন, জনগণ তাঁদের প্রতিহত করবেন।’

মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতার দম্ভে মানুষের ওপর লাগামহীন জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা না করে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জেল-জুলম, গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তারা মনে করেছিল যে তাদের এমন অপশাসন ও দুঃশাসন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। কিন্তু আল্লাহ জালিমদের ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না।’

ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, বেকারত্ব ও চাঁদাবাজি থাকবে না। যেখানে মা-বোনেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না। আমরা সাম্যের ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

খানজাহান আলী থানা জামায়াতের আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও বায়তুল মাল সেক্রেটারি হাফেজ আমিনুল ইসলাম। গণসংযোগের সময় স্থানীয় মার্কেটের ব্যবসায়ী, পথচারী, স্থানীয় বাসিন্দা, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দাওয়াত দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক এডিসি ইশতিয়াকের নির্যাতন নিয়ে অভিযোগ জমা দিলেন রাশেদ খান
  • ২ মে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ, প্রচারপত্রে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ৭ অপরাধ
  • মানুষ চিন্তা করতে পারেনি, তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
  • দুর্নীতির মামলায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক সাময়িক বরখাস্ত
  • জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ
  • সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক
  • চাকরি ছেড়ে হয়েছিলেন হতাশাগ্রস্ত বেকার, এখন মাসে আয় ৯ লাখ টাকা