এআইয়ের দুর্বলতা শনাক্তে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেবে মাইক্রোসফট
Published: 27th, April 2025 GMT
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) বিভিন্ন সুবিধার নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্ত করতে পারলে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেবে মাইক্রোসফট। ডায়নামিকস ৩৬৫ ও পাওয়ার প্ল্যাটফর্মের নির্দিষ্ট সেবা ও পণ্যে থাকা ত্রুটি শনাক্ত করে যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পুরস্কার পেতে পারে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
পাওয়ার প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ ও কাজ অটোমেশনের প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে ডায়নামিকস ৩৬৫ হলো গ্রাহক, পণ্য, কর্মী ও কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবহৃত বিজনেস অ্যাপ্লিকেশন।
মাইক্রোসফট জানিয়েছে, মডেল ম্যানিপুলেশন, ইনফারেন্স ম্যানিপুলেশন ও ইনফারেনশিয়াল তথ্য ফাঁসের মতো ত্রুটি শনাক্ত করে প্রমাণসহ জমা দিতে পারলেই ৫০০ থেকে ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। নিরাপত্তা দুর্বলতার গুরুত্ব, প্রভাব ও প্রতিবেদনের মানের ওপর নির্ভর করে পুরস্কারের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
গত বছর ‘ইগনাইট’ সম্মেলনে মাইক্রোসফট ‘জিরো ডে কোয়েস্ট’ নামে একটি বিশেষ হ্যাকিং ইভেন্ট চালু করে। ক্লাউড ও এআই প্রযুক্তিনির্ভর পণ্যে থাকা ত্রুটি শনাক্তের এ কার্যক্রমে গবেষকেরা ৬০০টির বেশি নিরাপত্তা দুর্বলতা শনাক্ত করেন। এ বিষয়ে মাইক্রোসফট সিকিউরিটি রেসপন্স সেন্টারের (এমএসআরসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট টম গ্যালাঘার জানিয়েছেন, হ্যাকিং ইভেন্টে ৬০০টির বেশি নিরাপত্তা দুর্বলতার তথ্য পাওয়া গেছে এবং সন্ধানদাতাদের ১৬ লাখ ডলারের বেশি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে মাইক্রোসফট জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবট কোপাইলটের মাঝারি মাত্রার দুর্বলতার জন্য পুরস্কারের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি কোপাইলটের অন্যান্য দুর্বলতা খুঁজে পেতে পুরস্কারের পরিমাণও দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে গবেষকেরা এআই নিরাপত্তা গবেষণায় আরও বেশি উৎসাহিত হন।
সূত্র: ব্লিপিং কম্পিউটার
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র দ দ র বলত
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি তৈরি করতে চায় মেটা
মানুষের মস্তিষ্কের চেয়েও শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি, অর্থাৎ ‘সুপার ইন্টেলিজেন্স’ তৈরি করতে চায় মেটা। এ জন্য স্কেল এআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকের সহায়তায় নতুন গবেষণাগার তৈরি করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানটি। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গবেষণাগার চালুর জন্য কয়েক শ কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে। শুধু তাই নয়, স্কেল এআইয়ের বেশ কিছু কর্মীকেও মোটা অঙ্কের বেতনে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বে এক দশক ধরেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে মেটা। ২০১৩ সালে ডিপমাইন্ড অধিগ্রহণ করতে না পেরে মার্ক জাকারবার্গ মেটার জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাগার গড়ে তোলেন। বর্তমানে মেটার এআই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ২০১৮ সালের টুরিং পুরস্কারজয়ী বিজ্ঞানী ইয়ান লেকুন। নিউরাল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পথিকৃৎ এই বিজ্ঞানী মনে করেন, বর্তমানে প্রচলিত প্রযুক্তি দিয়ে সাধারণ বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন এআই (এজিআই) তৈরি সম্ভব নয়; এ জন্য একেবারে নতুন ধরনের কাঠামো ও ধারণার প্রয়োজন।
মেটা ইতিমধ্যে বেশ কিছু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর পণ্য বাজারে এনেছে। ‘মেটা এআই’ নামের চ্যাটবট এখন ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং রে-ব্যান স্মার্ট চশমায়। গত মে মাসে জাকারবার্গ জানান, বর্তমানে প্রতি মাসে শতকোটির বেশি মানুষ মেটা এআই ব্যবহার করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আলেক্সান্দ্র ওয়াং ও লুসি গুও মিলে স্কেল এআই প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে লুসি গুও প্রতিষ্ঠান থেকে বরখাস্ত হন। শুরুতে ওপেনএআই, মাইক্রোসফট, কানাডাভিত্তিক কোহিয়ারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এআই প্রযুক্তি উন্নয়নে সহায়তা করত। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্কেল এআই বিভিন্ন দেশের করপোরেট ও সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস