পদ্মার খেয়াঘাট ইজারা বন্ধ দাবি চরের বাসিন্দাদের
Published: 27th, April 2025 GMT
পদ্মা নদীতে খেয়াঘাট ইজারা দেওয়ার প্রথা বাতিলের দাবিতে রাজশাহীতে সমাবেশ করেছেন চরের বাসিন্দারা। গতকাল রোববার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে তারা এ দাবি জানান। গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের চর আলাতুলি ইউনিয়নের সহস্রাধিক মানুষ এতে অংশ নেন।
চরের বাসিন্দারা বলছেন, চর আষাড়িয়াদহ ও চর আলাতুলি ইউনিয়নে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। পদ্মা নদী পাড়ি দিতে তারা খেয়াঘাটের ঘাটিয়ালদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। তারা বাড়তি টোল আদায় করছে। পণ্য পরিবহনে নেওয়া হয় অতিরিক্ত টাকা।
বক্তারা বলেন, ইজারার শর্তে জনপ্রতি ৫ টাকা নেওয়ার কথা বলা থাকলেও অতিরিক্ত টোল আদায় করে। মাঝিকেও টাকা দিয়ে নদী পার হতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও চরের বাসিন্দা ইমাম হোসেনের ভাষ্য, ঘাটের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে গেলে হত্যা করার হুমকি দেওয়া হয়। চর আষাড়িয়াদহ ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম ভোলা বলেন, এ অঞ্চলে ঘাটের কোনো প্রয়োজন নেই।
মানববন্ধন শেষে তারা বিভাগীয় কমিশনারকে স্মারকলিপি দেন। এটি গ্রহণ করে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান তাদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, কমিটি করে মতামত নেওয়া হবে। এর পর প্রতিবেদনটি স্মারকলিপিসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠালে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মু.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চর র ব স ন দ
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী পালিত
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া ট্র্যাজেডির ২৮তম বার্ষিকী মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১১টায় মাগুরছড়া গ্যাসক্ষেত্রের সামনে পাহাড় রক্ষা পরিবেশ, উন্নয়ন সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মৌলভীবাজার জেলা পাহাড় রক্ষা পরিবেশ ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ময়নুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সেলিম আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন কমলগঞ্জ সরকারি গণমহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক হামিদা খাতুন, সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রাজা, নিছসা সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক রাসেল হাসান বক্ত, পরিবেশকর্মী সাজু আহমেদ, শাহারা ইসলাম রুহিন, শ্রমিক নেতা দুলাল মিয়া, ছাত্রনেতা লিটন গাজী, মিনহাজুল ইসলাম মুন্না, আব্দুল মতিন, মিসবাউর রহমান, আদিবাসী নেতা সুচিনগুল প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এখনও বাংলাদেশ সেই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হলেও দেশের স্বার্থরক্ষায় আন্দোলনকারীরা সরব রয়েছেন। ২৮ বছর পার হয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সচেতন হয়নি সরকার। বিষয়টি আমলে নেয়নি কোম্পানি।