১৯তম ওভারে প্রথমবার বল করতে আসেন তাইজুল। প্রথম বল ডিফেন্ড করেন বেন কারেন। দ্বিতীয় বলে স্কয়ার কাট করতে চেয়েছিলেন। তবে ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়ে গেছেন বেন কারেন। ৫০ বল খেলে ২১ রান করেছেন তিনি। ৭২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে। কারেন ফিরলেন ২১ রানে।
অভিষেকে তানজিমের উইকেট, সাজঘরে বেনেট
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রথম ইনিংসের সূচনা করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বোলাররা সেভাবে কিছুই করতে পারছিলেন না দুই ওপেনার বেন কারান এবং ব্রায়ান বেনেটের কাছে। এরই মাঝে একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। যদিও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ৮ম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের গুড ল্যান্থের ডেলিভারি ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন বেন কারেন। এজ হয়ে স্লিপে চলে যায় বল। সেখানে থাকা ফিল্ডার সাদমান সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হলেন। ১১ রানে জীবন পান কারেন।
বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ১১তম ওভার পর্যন্ত। টেস্ট অভিষেকে বেনেটকে ফিরিয়ে উইকেটের দেখা পান তানজিম হাসান সাকিব। তার কোয়ার্টার লেংথের ডেলিভারিটি স্কয়ার ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন বেনেট, যদিও পায়ের কোনো মুভমেন্ট ছিল না। ৪১ রানে প্রথম উইকেট হারাল জিম্বাবুয়ে, বেনেট ফিরলেন ২১ রানে। ১৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ১ উইকেটে ৪২। ক্রিজে বেন কারানের সঙ্গী নিক ওয়েলচ।
পিএসএল খেলতে পাকিস্তান যাওয়ায় এই টেস্টে নেই নাহিদ রানা। তার জায়গায় টেস্ট অভিষেক হচ্ছে পেসার তানজিম সাকিবের। দেশের হয়ে ১০ ওয়ানডে ও ১৮ টি-টোয়েন্টি খেললেও তানজিম এবারই প্রথম মাঠে নামছেন টেস্ট খেলার জন্য। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৬ ম্যাচে ২৫ উইকেট আছে তার।
সিলেট টেস্টের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মাহমুদুল হাসান ও খালেদ আহমেদ। প্রায় তিন বছর পর বাংলাদেশের টেস্ট একাদশে জায়গা পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। সর্বশেষ ২০২২ সালের জুনে গ্রস আইল্যান্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছিলেন ডানহাতি ব্যাটার। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ফর্ম বিবেচনায় তাকে দলে নেওয়া হয়। অফ স্পিনার নাঈম হাসানকেও রাখা হয়েছে। তাকে নিয়ে একাদশে স্পিনার তিনজন।
এদিকে সিরিজ জেতার লক্ষ্যে একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে জিম্বাবুয়ে। আগের ম্যাচে উইকেটের পেছনে একাধিক সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেওয়া নিয়াশা মায়াভোকে বাদ দিয়েছে তারা। জায়গা হয়নি পেস অলরাউন্ডার ভিক্টর নিয়াউচির।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটে হেরে গেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে সম্ভাবনা তৈরি করেও জিম্বাবুয়েকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৭ উইকেট তুলে নিলেও জিম্বাবুয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ৩ উইকেট হাতে রেখে।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, এনামুল হক, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুশফিকুর রহিম, জাকের আলি, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তানজিম হাসান, হাসান মাহমুদ।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), ব্রায়ান বেনেট, বেন কারান, ওয়েসলি মাধেভেরে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ভিনসেন্ট মাসেকেসা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা, টাফাডজোয়া সিগা, নিকোলাস ওয়েলচ, শন উইলিয়ামস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল