নতুন রূপে আসছে ইউটিউব, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 28th, April 2025 GMT
অনলাইনে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম এখন ইউটিউব। ভিডিও দেখার পাশাপাশি ইউটিউবে ভিডিও প্রকাশ করে আয়ও করছেন অনেকে। ব্যবহারকারীদের বর্তমানের তুলনায় আরও ভালোভাবে ভিডিও দেখার সুযোগ দিতে ভিডিও প্লেয়ারের নকশায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে ইউটিউব। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যবহারকারী পরীক্ষামূলকভাবে নতুন নকশার ভিডিও প্লেয়ার ব্যবহার করতে পারছেন।
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘রেডিট’-এ কয়েকজন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ইউটিউবে ভিডিও চালুর সময় নতুন ইন্টারফেস দেখা যাচ্ছে। নতুন নকশায় ভিডিও প্লেয়ারের নিয়ন্ত্রণ সুবিধাগুলো আলাদা ক্যাপসুল আকারে দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ভলিউম নিয়ন্ত্রণে। আগে ভলিউম বাটনটি ছিল ভিডিওর নিচের বাঁ পাশে। নতুন নকশায় সেটি সরিয়ে ডান পাশে যুক্ত করা হয়েছে। এখন ভলিউম বাড়ানো-কমানোর জন্য অনুভূমিক নয়, বরং উল্লম্ব স্লাইডারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ইউটিউব জানিয়েছে, এ পরিবর্তনের ফলে ভলিউম নিয়ন্ত্রণ আরও সহজ হবে।
আরও পড়ুনইউটিউব চ্যানেলে যে ধরনের ভিডিও প্রকাশ করলে অর্থ আয়ের সুযোগ বন্ধ হবে০৬ এপ্রিল ২০২৫দীর্ঘদিন ধরেই ভিডিও প্লেয়ারের চেহারা একই রকম থাকায় প্রতিষ্ঠানের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিজেদের ভিডিও প্লেয়ারের নকশায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে ইউটিউব। তবে ভিডিও প্লেয়ারের নতুন নকশা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ নতুন নকশাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন, আবার কেউ পুরোনো নকশাকেই ভালো বলছেন।
আরও পড়ুনভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এক বছরে ইউটিউবের আয় কত০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইউটিউব টিভির ভিডিও প্লেয়ারের নকশাতেও পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছে ইউটিউব। নতুন নকশায় বাঁ পাশে চ্যানেলের তথ্য, বিবরণ ও সাবস্ক্রাইব বাটন দেখা যাবে। প্লে অপশনের নিয়ন্ত্রণ মাঝখানে এবং অন্যান্য অপশন ডান পাশে দেখা যাবে। নতুন নকশা চালু হলে ইউটিউব টিভি ব্যবহারকারীরা শিগগিরই নিজেদের মতো করে মাল্টিভিউ তৈরি করতে পারবেন। শুরুতে কিছু নির্দিষ্ট জনপ্রিয় চ্যানেলের কনটেন্ট দিয়ে এ সুবিধা চালু করা হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
আরও পড়ুনইউটিউবে প্রথম ভিডিও আপলোডের ২০ বছর, কে করেছিলেন ২৩ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত
নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।
কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।
১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)
আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)
ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।
৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)
ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।
৪. ঋণের মেয়াদ
কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।
৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)
শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।
৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)
ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।
৭. প্রসেসিং ফি
আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।
৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)
বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।
৯. জামানত (কোলেটারাল)
ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।
১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও
আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।