মাগুরার সেই ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আসামিদের আদলতে হাজির করা হয়।

নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, অভিযুক্ত প্রধান আসামি হিটু শেখসহ সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়। আজ মামলার ৩ থেকে ৫ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাক্ষীরা হচ্ছেন- আছিয়ার চাচা মোহাম্মদ ইব্রাহিম, হিটু শেখের এলাকার বাসিন্দা নিজানান্দুয়ালী গ্রামে হযরত আলী ও মাদ্রাসা শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। আগামীকাল মঙ্গলবার মামলার আরও ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছে আদালত। এ মামলায় মোট মাট ৩৭ জন সাক্ষীর নাম রয়েছে।

বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে গত ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের কাছে ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, অবস্থার আবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতির পর সিমএমএইচ এ ভর্তি করা হলে ১৩ মার্চ শিশুটি মারা যায়।

এ ঘটনায় ওই শিশুর মা তার মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ, মেয়ের স্বামী সজিব শেখ, তার ভাই রাতুল শেখ ও হিটু শেখের স্ত্রী রোকেয়া বেগমের নামে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলায় অভিযুক্ত সব আসামিদের গ্রেপ্তার করে ও আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে পুলিশ আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। বিচারক প্রধান আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন ও অপর তিন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড দেয়। রিমান্ডে প্রধান আসামি হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে আজ থেকে শুরু সপ্তাহব্যাপী ‘ডিজিট্যাক্ট’

ছবি: চিটাগং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ