মুসলিম ছাত্রাবাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবির ভিত্তিতে কলেজ অধ্যক্ষের বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রদল।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ১টায় অধ্যক্ষের কক্ষে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

এ সময় কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালেদ বিন ওয়ালিদ (আবির), যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিফুজ্জামান প্রীতম, আবু মুছা, শান্ত, ছাত্রনেতা সামিউল ইসলাম শিমুল, জাহিদ হাসান, রুহুল আমিন, উজ্জ্বল মিয়া, শাফি, রাহাত, জুবায়ের রুহুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

রাবির ভর্তি পরীক্ষা: একটি ইউনিটেই ৭৫০ ওএমআর বাতিল

৫ বিভাগীয় কেন্দ্রে রাবির সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ছাত্রদল আহ্বায়ক খালেদ বিন ওয়ালিদ (আবির) বলেন, “রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে নয় দফা দাবি নিয়ে আমরা আজ অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। আশা করি, কলেজ প্রশাসন অতি দ্রুত আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, হোস্টেলের ভর্তি ফি কমানো; এককালীন ফি পরিশোধের পরিবর্তে ২-৩ কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ প্রদান; বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ কমানো; খাবারের মান উন্নত করা; হোস্টেলের রুম ও দেয়ালের ফাটল দ্রুত মেরামত করা; ওয়াশরুম পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ; হোস্টেলে সাইকেল গ্যারেজের ব্যবস্থা করা; ছাত্র মনিটরিং কনভেনার প্রতি ২ মাস অন্তর পরিবর্তন ও ব্যবস্থার উন্নতি; হোস্টেলের মানোন্নয়নে পরিকল্পিত রূপরেখা প্রকাশ করা।

ঢাকা/ফারজানা/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ