২০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে মারধর, ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে লাইভে এসে চাচার অভিযোগ
Published: 28th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাউজানে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুরাদুল আলমের (৩৫) বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগ করেছেন তাঁর চাচা নুরুল আমিন। গতকাল রোববার এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনায় মুরাদুলকে অভিযুক্ত করে তাঁর আরেক চাচা মুহাম্মদ এসকান্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন গতকাল রাতে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নুরুল আমিন ভাতিজা মুরাদুল আলমের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেন। রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের গশ্চি নয়াহাটের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয় ভিডিওতে।
থানায় করা অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নুরুল আমিন সংযুক্ত আরব আমিরাতপ্রবাসী। সম্প্রতি তিনি দেশে আসেন। এর মধ্যে এক সপ্তাহ আগে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বসেন তাঁরই ভাতিজা সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মুরাদুল। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বিকেলে মুরাদুল তাঁদের ওপর হামলা করেন। পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় নুরুল আমিন, তাঁর ভাই এসকান্দর মিয়া ও তাঁর ছেলেকে।
আজ সোমবার দুপুরে আবারও লাইভে এসে এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নুরুল আমিন।
এ বিষয়ে সাবেক ছাত্রদল নেতা মুরাদুল আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোর কাছে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাঁদের মধ্যে জায়গাজমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। সমাধানও হয়েছিল। সামাজিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মেনে মামলা করেছিলেন চাচারা। গতকালও এ নিয়ে সামাজিক বৈঠক ছিল। উত্তেজনার মধ্যে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের শার্ট নিজে খুলে বিষয়টিকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে মিথ্যাচার করার চেষ্টা করেছেন তাঁর চাচা।
মুরাদুল বলেন, নুরুল আমিন আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইমাম গাজ্জালী কলেজের ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। তা ছাড়া ২০১২ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি মুরাদুলদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের বিরোধ হয়।
জানতে চাইলে প্রবাসী নুরুল আমিন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমাকে আটকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে মুরাদুলসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। আমি চাঁদা না দিলে আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। চাঁদা না দেওয়ায় আমাকে পিটিয়ে আহত করেছে তারা।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে চাঁদাবাজির সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে তাঁদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ থেকে মারামারি হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র ল আম ন ছ ত রদল ম রধর গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
পাবনায় মোবাইল ফোন চুরি করার সন্দেহে রাসেল হোসেন (৩১) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার মামাত ভাইদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
শনিবার (১৪ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার জাফরাবাদ এলাকায় তাকে হত্যা করা হয়। নিহত রাসেল হোসেন জাফরাবাদ এলাকার নজির উদ্দিনের ছেলে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার (১৪ জুন) রাতে রাসেলের মামাত ভাই জাফরাবাদ এলাকার মকবুল হোসেনের বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন সেট চুরি হয়। মোবাইল চুরির ঘটনায় রাসেলকে সন্দেহ করে একই এলাকার তানজিল হোসেন নামে এক যুবক রাসেলকে মোবাইল ফোন সেটটি ফেরত দিতে বলেন। এতে রাসেল চুরির কথা অস্বীকার করে ক্ষুব্ধ হয়ে তানজিলকে মারধর করেন। এরই জের ধরে তানজিলের স্বজন ও মকবুলের সহযোগীরা রাসেলদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে রাসেলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে রাসেলের মৃত্যু হয়।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিহত রাসেলের বোন অঞ্জনা খাতুন বলেন, ‘‘তাদের এলাকার সাইফুলের পরিত্যক্ত সেমাই কারখানার কলা গাছ থেকে কলা কাটাকে কেন্দ্র করে মামাত ভাই মকবুলদের সঙ্গে রাসেলের বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’’
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজন মহিলাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলায় তাদের অভিযুক্ত করা হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতদের নাম-পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান ওসি।
ঢাকা/শাহীন/বকুল