বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে যা করতে চায় পিএসসি
Published: 29th, April 2025 GMT
৪৪তম বিসিএসের ক্যাডার পদ বৃদ্ধি ও নন-ক্যাডার বিধি-২০২৩ সংস্কার করে বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার জন্য নবম ও দশম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করার যে দাবি ছিল চাকরিপ্রার্থীদের, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
গত শনিবার পিএসসি সংস্কারে চাকরিপ্রার্থীদের আট দফা দাবির বিষয়ে যে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছে, সেখানে এ বিষয়ও রয়েছে। পিএসসি বলছে, ৪৪তম বিসিএসের ক্যাডার পদ বৃদ্ধি ও নন-ক্যাডার বিধি-২০২৩ সংস্কার করে বিসিএস ভাইভায় উত্তীর্ণ সবার জন্য নবম ও দশম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করার বিষয়টি একান্তই সরকারের এখতিয়ারাধীন একটি বিষয়।
তবে পিএসসি মনে করে, এ রকম করা হলে ৪৫, ৪৬ ও ৪৭তম বিসিএসের প্রার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এবং ফলে তাদের সংক্ষুব্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুনবিসিএসে ১০০ নম্বরের ভাইভা, কার্যকর কোন বিসিএসে২৭ এপ্রিল ২০২৫বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের বিষয়ে প্রার্থীদের আরেকটি দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, ৪৭তম বিসিএস থেকে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার বিধান কার্যকর হবে। ৪৫তম বিসিএস থেকেই বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০–এর পরিবর্তে ১০০ নির্ধারণ করার প্রস্তাব ২০২৪ সালের নভেম্বরে কমিশন কর্তৃক সরকারের কাছে প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু সরকারের বিবেচনায় ৪৭তম বিসিএস থেকে এটি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের১৯ ঘণ্টা আগেআরেকটি দাবির বিষয়ে পিএসসি জানিয়েছে, প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করার জন্য কমিশন ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভার নম্বর প্রকাশ করার জন্য সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিযোগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪, সংশোধন করার প্রয়োজন হবে এবং পিএসসির কিছু অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এসব বিষয়ে পিএসসি ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন৪০৪ পদে সরকারি চাকরি, আবেদন শেষ আগামীকাল৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম খ ক পর ক ষ ব স এস র র জন য প এসস সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতি বরখাস্
বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫ প্রকৌশলী এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের স্থপতিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরখাস্তকৃতরা হলেন: গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মনি, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন, নির্বাহী প্রকৌশলী ফারহানা আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মফিজুল ইসলাম এবং স্থাপত্য অধিদপ্তরের সহকারী স্থপতি শিরাজী তারিকুল ইসলাম।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানায়, কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত থাকায় অসদাচরণ ও পলায়নের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশের মাধ্যমে এ সকল কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মনি টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে ডক্টোরাল প্রোগ্রামে অংশ নিতে ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি কাটানোর পর পরবর্তী সময়ে অনুমতি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী তাকে ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে বরখাস্ত করা হয়।
আবদুল্লা আল মামুন পিএইচ.ডি করতে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। এরপর থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা মোতাবেক তাকে ১৫ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মোছাঃ রাহানুমা তাজনীন ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখ পর্যন্ত ছুটিতে ছিলেন। ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে অননুমোদিতভাবে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
ফারহানা আহমেদ ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
মফিজুল ইসলাম ২০২৩ এর ২০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি কাটালেও পরে ছুটি না নিয়ে অফিসে অনুপস্থিত। তাকে ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
শিরাজী তারিকুল ইসলামও ২০২২ সালের ১২ মে থেকে ছুটি না নিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তাকে ২১ মে ২০২৫ তারিখে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন//