গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত সিলেট পুলিশ লাইন এলাকায় ১টি ও ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এলাকায় ১টি আবাসিক ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্প দুটিতে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার ৪১ টাকা।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.

সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট পুলিশ লাইন এলাকায় ১৫তলা ভিত্তিসহ ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ (৬৫০ বর্গফুট প্রতি তলায় ১২টি ইউনিট) এর পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।

জানা গেছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় সিলেট পুলিশ লাইন এলাকায় ১৫তলা ভিত্তিসহ ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ (৬৫০ বর্গফুট প্রতি তলায় ১২টি ইউনিট) এর পূর্ত কাজ পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পায়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা ছিল  ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭০ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভুত কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৭ কোটি ৭৫ লাখ ২১ হাজার ৯৬ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে ২০১৬ সালে ৩০ অক্টোবর অনুমোদিত হয়।

অন্য এক প্রস্তাবে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এলাকায় ২০তলা ভিত্তিসহ ২০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ (৬৫০ বর্গফুট প্রতি তলায় ১২টি ইউনিট) এর পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পায় পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ ছিল ৮২ কোটি ৬৩ লাখ ২১ হাজার ৬২৫ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভূত কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত  ৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৫ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব প রকল প অন ম দ উপস থ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের বেতন বাড়াল বিসিবি

জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আজ মিরপুরে বিসিবি পরিচালকদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এত দিন ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মেয়েরা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেতেন। তাঁদের বেতন ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হচ্ছে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ টাকা করে বেতন। তাঁরা এখন থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন ৭০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৫ হাজার টাকা করা হয়েছে আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৬০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকা।
এ ছাড়া জাতীয় দলের অধিনায়কদের জন্য ৩০ হাজার ও সহ-অধিনায়কদের জন্য ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়া নারী ক্রিকেটারদের নতুন চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে আছেন তিন ক্রিকেটার—নিগার সুলতানা, নাহিদা আক্তার ও শারমিন আক্তার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে আছেন ফারাজনা হক, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন স্বর্ণা আক্তার।

আরও পড়ুনবিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ না জিতলেও ৩ কোটি টাকা পাবেন নিগাররা৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘ডি’ ক্যাটাগরিতে আছেন সুমাইয়া আক্তারর, ফারিহা ইসলাম, রুবাইয়া হায়দার, সানজিদা আক্তার, নিশিতা আক্তার। এই চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের কেউ জাতীয় দলে এলে মাসে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ