সিলেট পুলিশ লাইন এলাকায় ভবন নির্মাণের ব্যয় বাড়ল
Published: 29th, April 2025 GMT
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে নির্মিত সিলেট পুলিশ লাইন এলাকায় ১টি ও ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এলাকায় ১টি আবাসিক ভবন নির্মাণে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্প দুটিতে অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ১৬ হাজার ৪১ টাকা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড.
সভা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট পুলিশ লাইন এলাকায় ১৫তলা ভিত্তিসহ ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ (৬৫০ বর্গফুট প্রতি তলায় ১২টি ইউনিট) এর পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনক্রমে ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় সিলেট পুলিশ লাইন এলাকায় ১৫তলা ভিত্তিসহ ১৫ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ (৬৫০ বর্গফুট প্রতি তলায় ১২টি ইউনিট) এর পূর্ত কাজ পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পায়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা ছিল ৫৫ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭০ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভুত কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৭ কোটি ৭৫ লাখ ২১ হাজার ৯৬ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পটি একনেকে ২০১৬ সালে ৩০ অক্টোবর অনুমোদিত হয়।
অন্য এক প্রস্তাবে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস এলাকায় ২০তলা ভিত্তিসহ ২০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ (৬৫০ বর্গফুট প্রতি তলায় ১২টি ইউনিট) এর পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রকল্প বাস্তবায়নে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পায় পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ ছিল ৮২ কোটি ৬৩ লাখ ২১ হাজার ৬২৫ টাকা। চুক্তি অনুসারে কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত/টেন্ডার বহির্ভূত কিছু আইটেম হ্রাস/বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৪ কোটি ১৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯৪৫ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে।
ঢাকা/হাসনাত/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রস ত ব প রকল প অন ম দ উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।