নতুন প্যাকেজে একই দামে বেশি ইন্টারনেট দেবে একটি মোবাইল অপারেটর
Published: 29th, April 2025 GMT
একই দামে গ্রাহকদের আগের চেয়ে বেশি ডেটা, ভয়েস মিনিট ও মিক্স বান্ডেল দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক।
ইন্টারনেট–সেবা ব্যবস্থার দুটি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দাম কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর গ্রাহক পর্যায়ে বাংলালিংকের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা এল।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন প্যাকেজের আওতায় এখন ডেটার ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, ভয়েস মিনিটের ক্ষেত্রে ২২ শতাংশ ও মিক্স বান্ডেলের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বেশি সুবিধা পাবে গ্রাহক। মানে হলো, তারা এখন থেকে একই দামে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার ও কথা বলার সুযোগ দেবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রাহকের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করতে এ ডেটা প্যাকেজ নিয়ে আসা হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু প্যাকেজের আওতায় ব্যবহারকারীরা অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই টফির কনটেন্ট লাইব্রেরিতে আনলিমিটেড ব্রাউজিং সুবিধা পাবেন।
নতুন ডেটা প্যাকেজ দেশের ডিজিটাল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রাহককেন্দ্রিক সুবিধা নিশ্চিতের মাধ্যমে ডিজিটাল সেবায় মানুষের অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় বাংলালিংক।
টেলিযোগাযোগ খাতে সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন, ‘ডার্ক ফাইবার ও ডব্লিউডিএম (ডেন্স ওয়েভলেন্থ ডিভিশন মাল্টিপ্লেক্সিং) অবকাঠামোয় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের অংশগ্রহণের সুযোগসহ টেলিযোগাযোগ খাতে সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে আমরা স্বাগত জানাই। এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে এবং গ্রাহকদের সুবিধা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি ভূমিকা রাখবে।’
এর আগে গত ২২ মার্চ ব্যান্ডউইডথের দাম কমানোর প্রথম ঘোষণা আসে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) কাছ থেকে। এরপর ইন্টারনেট–সেবাদাতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমও দাম কমানোর কথা জানায়।
সর্বশেষ ২২ এপ্রিল ইন্টারনেট–সেবাদাতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সামিট কমিউনিকেশনসও নিজেদের সেবার দাম কমানোর কথা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
দাম কমানোর এসব ঘোষণার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ২১ এপ্রিল নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, ইন্টারনেট-সেবায় লাইসেন্সের ধাপে ধাপে মোট তিন থেকে চারটি স্তরে দাম কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি মোবাইল অপারেটরদের দেওয়া একাধিক সুবিধার কথা উল্লেখ করে বলেন, বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না। সরকার তাদের নীতিগত সহায়তা দিয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ম কম ন র ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।