আগামী বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য বার্ষিক করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। প্রসঙ্গত, এখন সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামশর্ক কমিটির ৪৫তম সভায় এই প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো.

হাফিজুর রহমান। এ ছাড়া নারী করদাতা  ও ৬৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা পাঁচ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন তিনি।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ বুধবার বেলা পৌনে ১১টায় এই সভা শুরু হয়। পরামর্শক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। আরও উপস্থিত আছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান প্রমুখ। সঞ্চালনা করছেন এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।

করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর জন্য যুক্তি হিসেবে এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয় বিবেচনায় সাধারণ নাগরিক, জ্যেষ্ঠ নাগরিক ও নারীদের করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করা জরুরি। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা আয়ের বড় অংশ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই বাস্তবতায় বিদ্যমান করকাঠামো তাঁদের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।

হাফিজুর রহমান সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব দেন। এ ছাড়া তিনি সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন।

হাফিজুর রহমান আরও বলেন, এসব সংস্কার হলে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে। দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: করম ক ত আয়স ম এফব স স আইয় র হ ফ জ র রহম ন ন এফব স স

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির প্রার্থীর তালিকায় নেই তারকারা

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে কয়েকজন জনপ্রিয় তারকার মনোনয়ন পাওয়ার গুঞ্জন থাকলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থী তালিকায় তাদের নাম নেই।

সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭ আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

মালয়েশিয়ায় পরীমণির দশ দিন

তবে আলোচনায় থাকা কোনো তারকা প্রার্থী চূড়ান্ত তালিকায় আসেননি। সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন (নীলফামারী–৪), মনির খান (ঝিনাইদহ–৩) ও রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা (সিরাজগঞ্জ–১) মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।

তাদের মধ্যে বেবী নাজনীন ও মনির খানের আসনে যথাক্রমে আবদুল গফুর সরকার ও মেহেদী হাসান মনোনয়ন পেয়েছেন। কনকচাঁপার আসনের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ–১ আসন থেকেই বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন কনকচাঁপা। তখন আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনে আবারো লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে জানা যায়।

মনির খান ও কনকচাঁপা দুজনই বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া দলটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও চলচ্চিত্র অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও আলোচনায় ছিল।

উজ্জ্বল বলেন, “দল যদি মনে করে আমার প্রার্থী হওয়া দরকার, আমি প্রস্তুত।”

বিএনপির এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে আপাতত স্পষ্ট—বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখগুলো এবারো দলীয় প্রার্থী তালিকার বাইরে থাকছেন।

ঢাকা/রাহাত/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ