বন্দরে রইসউদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
Published: 2nd, May 2025 GMT
"আমার ভাই মরলো কেন প্রশাসন জবাব চাই" লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে "আমার ভাই কবরে আসামীরা বাহিরে"এই শ্লোগানে নিরীহ ইমাম রইসউদ্দিন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২ মে) বিকেল ৫টায় বন্দর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইঐউঝ অপরাধ প্রতিরোধ কল্যাণ সংস্থা ও হিলফুল ফুযুল শান্তি সংঘের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব, দেওভোগ সাকিম আলী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মুহাম্মদ তামিম বিল্লাহ।
হিলফুল ফুষুল শান্তি সংঘের সভাপতি মাহতাব হোসেনের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন অপরাধ প্রতিরোধ কল্যাণ সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোমেন ইসলাম, ক্বারী মাওলানা মো.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিলফুল ফুষুল শান্তি সংঘের সাধারণ সম্পাদক নাজির হোসেন,শিশির আহমেদ শাওন,হাফেজ আল আমিন,ওমর ফারুক,আল আমিন,সাদ্দাম হোসেন,কবির হোসেন প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন,এক ফ্যাসিস্ট সরকার গিয়েছে এখন আরেক ফ্যাসিস্ট সরকারের আবির্ভাব ঘটেছে। যেখানে থানা হেফাজতে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই সেখানে কোথায় গিয়ে বাঁচার জন্য আর্তনাদ করবে।
তারা আরো বলেন,এই সরকারের পুলিশ কাফেরকেও হার মানিয়েছে আমার ভাই রইসউদ্দিন সামান্য পানি খেতে চেয়েছে তাকে পানি পর্যন্ত খেতে দেয়া হয়নি। এটা কি মানুষের কাজ আমরা জালেমের দেশে বসবাস করছি।
আমরা বর্তমান সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে বলতে চাই অনতিবিলম্বে রইসউদ্দিনের মামলা গ্রহণ করে দ্রুত খুনীদেরকে গ্রেফতার করুন অন্যথায় কঠিন থেকে কঠিন আন্দোলনের উদ্যোগ নেয়া হবে। আমরা এজিদের বংশধরদেরকে বাংলার জমিন থেকে চিরতরে উৎখাত করবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে নিহতের পিতা শুক্কর আলী ও স্ত্রী ইভা আক্তার এ অভিযোগ করেন। এসময় মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।
নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, আমাকে যারা অল্প বয়সে বিধবা ও ৩ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে জুনায়েদকে এতিম করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আসামিরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে এখন আবার হুমকিও দিচ্ছে।
মামলার বাদী নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামি গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী মহাসিন ভূঁইয়াসহ ৪ জন এখনো গ্রেফতার হয়নি।
তারা পলাতক থেকে তাদের লোকজনের মাধ্যমে মিমাংসা করে মামলা তুলে দেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ও ছেলের বউ ইভা তার সন্ধান করতে নূরুল আনোয়ারের নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী আলমগীর আমাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।
অথচ সে জানতো আমার ছেলেকে ওই ভবনের একটি কক্ষে হত্যা করেছে। লাশ ভনের লিফটের হাউজের নর্দমা পানিতে রয়েছে। আমি এ পাষাণদের ফাঁসি চাই। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই জুয়েল, ফাহিম ও বোন সুমাইয়া।
মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন, ফজলুল হক মাদবর, লিটন, মাসুদ, জসিম, আব্দুল মজিদ, সুমন, শাহিন, আসলাম ও বাধনসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত মাসের ১৮ জুলাই দুপুরে নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা নর্দমা পানি থেকে জনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৯ তারিখে নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার নামীয় আসামি আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। গ্রেফতাররা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।