সরকারি বরাদ্দের সিমেন্ট, বালু ও টিন। নেওয়ার কথা কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে। কিন্তু তা পাচার করা হয়েছে মিয়ানমারে। এমন অভিযোগে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ দু’জনকে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। তিনি জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন উপজেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী। এতে সেন্টমার্টিনের সৈকতকর্মী আশিকুর রহমান এবং ইউপি সদস্য মাহফুজা আক্তারের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া সাত-আটজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। মামলায় নথিপত্র জালিয়াতি এবং মিয়ানমারে পণ্য পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) শেখ এহসান উদ্দিন জানান, ‘সেন্টমার্টিন পর্যটন তথ্য ও অভিযোগ কেন্দ্র’ সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এজন্য আশিকুর রহমানকে ৯ বান্ডিল টিন, ৭০ ফুট কাঠ, ৩০ কার্টন টাইলস, ৩০০ ফুট বালি ও ২০ ব্যাগ সিমেন্ট সেন্টমার্টিন নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতিপত্র জাল করে ৪০০ ব্যাগ বানিয়ে সিমেন্টগুলো মিয়ানমারে পাচার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আশিকুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চোরাচালানে জড়িত ‘সেভেনস্টার’ চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার নামে অনুমতিপত্রটি দ্বীপের ইউপি সদস্য মাহফুজা আক্তার গ্রহণ করেন। পরে শুনেছি এ অনুমতিপত্র নিয়ে মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচার করা হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা নেই। একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিটির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, ‘টেকনাফ থেকে সিমেন্ট, বালি-টিনসহ একটি বোট সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে যাত্রা করে। ট্রলারটি দ্বীপে আসার মাঝপথে মিয়ানমারে ঢুকে গেছে বলে শুনেছি।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন টম র ট ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, চণ্ডীপুর ও বেড়ামাইল গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া এলাকার রকিব মিয়া (৬২), চড়ারহাট এলাকার এনামুল হক (৪৬) ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৫), ইসাহাক আলী (৪৫), আবদুল হক (৫০), হীরা (২৬), চণ্ডীপুর গ্রামের ফসি উদ্দিন (৪৫) ও বেড়ামাইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৫)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়ে আহত আটজনের মধ্যে পাঁচজন গতকাল রাতেই বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) শেফালী বেগম ও আহত রকিব মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে নবাবগঞ্জের চড়ারহাট বাজার থেকে কয়েকজন পথচারী হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া গ্রামে ঢোকার সময় রাস্তায় একটি শিয়াল অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ শিয়ালটি দৌড়ে এসে পথচারীদের পায়ে ও হাঁটুর নিচে কামড় দেয়। এ সময় কেউ কেউ শিয়ালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটির সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে শিয়ালটি পালিয়ে যায়।
শেফালী বেগম বলেন, ওই রাতেই নয়াপাড়া গ্রামে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি শিয়াল এসে তাঁর পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, বেড়ামাইল ও চণ্ডীপুর গ্রামের আটজনকে শিয়াল কামড় দেয়।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিয়ালের কামড়ে আহত পাঁচজন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে গেছেন।