শিল্পী শম্ভু আচার্যের ঐতিহ্যবাহী গাজীর পটচিত্রের একক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে উত্তরা গ্যালারি কায়াতে। শুক্রবার বিকেলে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি লারা অ্যাডামস।

প্রদর্শনীতে গত দুই বছরে শম্ভু আচার্যের আঁকা ৩১টি পটচিত্র স্থান পেয়েছে। বাংলার লোকচিত্রকলায় গাজীর পট একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পমাধ্যম। পটচিত্র অনেক শ্রমসাধ্য। গভীর নিষ্ঠা ও একাগ্রতার প্রয়োজন হয় এই কাজে। ইটের গুঁড়া, তেঁতুলবীজ, বেলের কষ, মাটি, নীল, সিঁদুর, ডিমের কুসুমের মতো অনেক রকম প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি করা রং ব্যবহৃত হয় গাজীর পটচিত্রে। সে কারণে শুধু অঙ্কনই নয়, রং তৈরির দক্ষতাও শিল্পীকে রপ্ত করতে হয়।

পটচিত্রশিল্পী শম্ভু আচার্যের জন্ম মুন্সিগঞ্জের কালিন্দীপাড়া এলাকায়। তিনি পটচিত্রকলার কাজ শিখেছেন তাঁর বাবা বিখ্যাত পটচিত্রশিল্পী সুধীর আচার্যের কাছ থেকে। এই আচার্য পরিবার বংশপরম্পরায় গাজীর পটচিত্রকলার চর্চার ভেতর দিয়ে এই লোকচিত্রকলার ধারাবাহিকতা টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

গাজীর পটচিত্রের মাধ্যমে যে গল্প উপস্থাপন করা হয় তা অসাম্প্রদায়িক চেতনাকেও তুলে ধরে। আগের দিনে গ্রামেগঞ্জে লোকশিল্পীরা গাজীর পটচিত্রের চিত্রকর্মগুলোকে অবলম্বন করে গাজী-কালু পীরের কাহিনি উপস্থাপন করতেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শম্ভু আচার্য পটচিত্রের ঐতিহ্য তুলে ধরেন। স্বাগত বক্তব্যে গ্যালারি কায়ার পরিচালক শিল্পী গৌতম চক্রবর্তী বলেন, কায়া এ মাসেই ২২তম বছরের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। শুরু থেকেই সৃজনশীলতার বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। এ পর্যন্ত তাঁরা নবীন ও প্রবীণ শিল্পীদের ১৫২টি একক ও দলীয় প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন।

শম্ভু আচার্যের এই পটচিত্রকলা প্রদর্শনীতে তাঁর স্বাক্ষর করা একটি ফোলিও প্রকাশ করা হয়েছে। আগ্রহীরা এটি সংগ্রহ করতে পারেন। প্রদর্শনী চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা সাড়া ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ জ র পটচ ত র পটচ ত র র ত রকল

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি

চট্টগ্রাম নগরের উত্তর মোহরা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. ইউনুস। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মো. ইউনুস নদী থেকে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার বা খননযন্ত্রের ব্যবসা করেন। রাতে নিজের বাসাতেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে তাঁকে চার থেকে পাঁচটি গুলি করে। তাঁর মুখে, হাঁটুতে ও হাতে গুলি লেগেছে। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

উত্তর মোহরা এলাকাটি নগরের চান্দগাঁও থানার আওতাধীন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে রাতেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ