পণ্য লুট, চাঁদাবাজির বিচার চান ব্যবসায়ীরা
Published: 2nd, May 2025 GMT
ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলা ব্যবসায়ী-মালিক সমিতি, উপজেলা পরিবেশক সমিতির নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সময়ে দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছে। এমনকি নানা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের আটকে টাকা-পয়সা ও পণ্য লুটে নিচ্ছে। দোকানপাট বন্ধ করে রাতে বাসায় চলে গেলেও নিস্তার পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। দোকানের তালা ভেঙেও মালপত্র লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা।
মানববন্ধন শেষে বের হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে মারীখালি ব্রিজ ঘুরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা কাঁচাবাজারের সামনে শেষ হয়। পরে স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানা ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় সোনারগাঁ পরিবেশক সমিতির সভাপতি মো.
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সোনারগাঁ পণ্য পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আজিজুল ইসলাম।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ব্যবসায়ীরা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে পুলিশ তৎপর। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে হত্যা মামলার বাদীকে হুমকি, স্বজনদের মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে মাকসুদুল হাসান জনি হত্যা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে নিহতের পিতা শুক্কর আলী ও স্ত্রী ইভা আক্তার এ অভিযোগ করেন। এসময় মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।
নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, আমাকে যারা অল্প বয়সে বিধবা ও ৩ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে জুনায়েদকে এতিম করেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আসামিরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে এখন আবার হুমকিও দিচ্ছে।
মামলার বাদী নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বলেন, আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামি গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী মহাসিন ভূঁইয়াসহ ৪ জন এখনো গ্রেফতার হয়নি।
তারা পলাতক থেকে তাদের লোকজনের মাধ্যমে মিমাংসা করে মামলা তুলে দেয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এতে আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
নিহতের মা মাজেদা বেগম বলেন, আমার ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর আমি ও ছেলের বউ ইভা তার সন্ধান করতে নূরুল আনোয়ারের নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের সামনে গেলে নিরাপত্তারক্ষী আলমগীর আমাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।
অথচ সে জানতো আমার ছেলেকে ওই ভবনের একটি কক্ষে হত্যা করেছে। লাশ ভনের লিফটের হাউজের নর্দমা পানিতে রয়েছে। আমি এ পাষাণদের ফাঁসি চাই। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাই জুয়েল, ফাহিম ও বোন সুমাইয়া।
মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন, ফজলুল হক মাদবর, লিটন, মাসুদ, জসিম, আব্দুল মজিদ, সুমন, শাহিন, আসলাম ও বাধনসহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৩ দিন পর গত মাসের ১৮ জুলাই দুপুরে নিমাইকাশারী এলাকার নির্মাণাধীন তাকওয়া ভবনের লিফটের জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায় জমে থাকা নর্দমা পানি থেকে জনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ১৯ তারিখে নিহতের পিতা শুক্কুর আলী বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলার এজাহার নামীয় আসামি আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ও আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেফতারের পর তারা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। গ্রেফতাররা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।