নারায়ণগঞ্জে স্বস্তির বৃষ্টি, সড়কে হাঁটুপানি জমে ভোগান্তি
Published: 3rd, May 2025 GMT
টানা কয়েক দিনের গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থা কাটিয়ে আজ শনিবার দুপুরে হঠাৎ নারায়ণগঞ্জ শহরে নামে একপশলা স্বস্তির বৃষ্টি। তবে সামান্য বৃষ্টিতেই নগরের প্রধান সড়কে জমে হাঁটু পানি। পয়োনিষ্কাশনের দূষিত পানিতে ছড়িয়ে পড়ে সড়কজুড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীসহ যানবাহনের যাত্রীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, আজ বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত মাত্র এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের চাষাঢ়া, উকিলপাড়া, গলাচিপা, নন্দীপাড়া সড়কসহ বিভিন্ন স্থানের প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। চাষাঢ়ার সায়াম প্লাজা, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, হক প্লাজা, পানোরামা প্লাজার সামনের সড়কে পয়োনিষ্কাশনের দূষিত পানি সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। অনেককেই বাধ্য হয়ে নোংরা পানিতে নেমে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
পানোরামা প্লাজা মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন গৃহিণী সোনিয়া আক্তার। তিনি বলেন, বৃষ্টি স্বস্তি দিলেও জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। ধীরগতিতে পানি নিষ্কাশনের নালা নির্মাণকাজের কারণে নগরবাসীকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এর জন্য সিটি করপোরেশন দায়ী।
নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম। তিনি জানান, বৃষ্টির পানি সরার ব্যবস্থা নেই। পয়োনিষ্কাশনের নালা নির্মাণকাজের ধীরগতিতে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করতে পারে।
জলাবদ্ধ স্থানগুলোতে পানি সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বিবি রোডের প্রধান সড়কের দুই পাশে নালা নির্মাণকাজ চলছে। এ কারণে অনেক স্থানে নালা বন্ধ আছে। তাই জলাবদ্ধ স্থানে পানি সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে নালায় পড়ে ছিল তরুণের বস্তাবন্দী লাশ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় পয়োনিষ্কাশনের নালা থেকে জনি সরকার (২৫) নামের এক তরুণের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পূর্ব শিহাচর লালখাঁ এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পূর্ব শিহাচর লালখাঁ এলাকার ভাড়াটে বাসিন্দা করুণা সরকারের ছেলে। উদ্ধারের পর তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
করুণা সরকার বলেন, জনি মাঝেমধ্যে গার্মেন্টসে কাজ করতেন। এলাকার মাদকাসক্ত ছেলেদের সঙ্গে তাঁর চলাফেরা ছিল। গতকাল সোমবার রাত ৯টার পর বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন জনি।
জনির শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, প্লাস্টিকের বস্তায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় নালা থেকে জনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে মারধরের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা যাবে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।