টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতার কারখানায় ডাকাতি
Published: 4th, May 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের ‘আনাম গ্রিন ফুয়েল এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ফার্নেস ওয়েল’ কারখানায় ডাকাতি হয়েছে। শুক্রবার (১ মে) দিবাগত রাতে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামে তার খামারবাড়ি সংলগ্ন কারখানায় ঘটনাটি ঘটে।
ডাকাতির ঘটনায় কারখানাটির ইনজার্চ তাজুল ইসলাম শনিবার (২ মে) রাতে বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেছেন।
কারখানা মালিকের ভাতিজা শরীফুল ইসলাম শরীফ জানান, ফকির মাহবুব আনাম স্বপনের খামারবাড়ির একাংশে কারখানা রয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে পেছনের গেট কেটে ১৫-১৬ জন ডাকাত কারখানাটিতে প্রবেশ করে। তারা নৈশপ্রহরীর হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তারা বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে কারখানার ট্রান্সফরমারের ভেতরের যন্ত্রপাতি খুলে নেয়।
আরো পড়ুন:
রায়গঞ্জে ‘আয়নাঘরে’ নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ২
ডাকাতদল পরে জেনারেটর ঘরে গিয়ে মূল্যবান তার ও ব্যাটারি নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ মধুপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম এমাজ উদ্দিন সরদার বলেন, “আনাম গ্রিন ফুয়েল এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ফার্নেস ওয়েল কারখানার দুইশ কেভি ট্রান্সফরমারের যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে গেছে ডাকাতের দল। যার মূল্য ৪৫-৫০ লাখ টাকা। মূল্যবান তার ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে যাওয়ার খবর শুনেছি।”
ডাকাতির খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামীল শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবালসহ স্থানীয় নেতারা কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন। টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, “পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
মধুপুর থানার ওসি মো.
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের ছাতার নিচে সৌদি আরব
অনেক আরব দেশ ইসরায়েলের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান হুমকি অনুভব করছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই এখন নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগ থেকে মুক্তি পেতে চলতি সপ্তাহে পাকিস্তানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির বদৌলতে সৌদি আরব নিজেকে ইসলামাবাদের পারমাণবিক ছাতার তলায় নিয়ে এসেছে।
বুধবার পাকিস্তান ও সৌদি আরবের মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ কার্যকরভাবে রিয়াদের বিপুল অর্থ পাকিস্তানের বিশাল পারমাণবিক সশস্ত্র সেনাবাহিনীতে বিনিয়োগ করলো। এই চুক্তির খুব কম বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু রিয়াদ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, চুক্তির অধীনে তাদের একটি কার্যত পারমাণবিক ঢাল থাকবে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ রয়টার্সকে বলেছেন,পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি চুক্তির ‘দৃষ্টিসীমায় নেই।’ চুক্তিটি অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সম্প্রসারিত করা যেতে পারে।
আসিফ বলেন, “আমাদের এই চুক্তিটি কোনো আগ্রাসনের জন্য ব্যবহার করার ইচ্ছা নেই। কিন্তু যদি পক্ষগুলোকে হুমকি দেওয়া হয়, তাহলে স্পষ্টতই এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে উঠবে।”
রিয়াদ পারমাণবিক ইস্যুটিকে ভিন্নভাবে দেখতে পারে।
পাকিস্তান এখন সৌদি আরবকে পারমাণবিক ছাতা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে কিনা জানতে চাইলে একজন ঊর্ধ্বতন সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “এটি একটি ব্যাপক প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি যা সমস্ত সামরিক উপায়কে অন্তর্ভুক্ত করে।”
বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, এই চুক্তিটি এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিরাপত্তার প্রতি সৌদি আরবের সঙ্কুচিত আস্থাকেও প্রতিফলিত করে।
লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মধ্যপ্রাচ্য নীতির সিনিয়র ফেলো হাসান আলহাসান বলেছেন, “সৌদি দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী ইসরায়েলের তুলনায় কৌশলগত এবং প্রচলিত প্রতিরোধ ঘাটতি পূরণ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।”
সৌদি আরবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চুক্তিটির “উদ্দেশ্য দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার দিকগুলো বিকাশ করা এবং যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করা।”
পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত কিনা সে বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সৌদি সরকারি মিডিয়া অফিস।
ঢাকা/শাহেদ