যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জাফর আলমের (৬৯) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার শাহবাগ থানাধীন এলাকায় মনির নামে এক ব্যক্তি নিহতের মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

সোমবার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্রের আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মতিঝিল জোনাল টিমের সাব-ইন্সপেক্টর ফেরদৌস আলম  জাফর আলমের সাত দিন রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার সাব-ইন্সপেক্টর মাইনুল ইসলাম খান পুলক হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।

আদালত তাদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন সোমবার ধার্য করেন।

এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানি করেন। পরে আদালত জাফর আলমের চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। আর হাজী সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করা হয়।

জাফর আলমের মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকা হয়। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়। 

হাজী সেলিমের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট দুপুরে শাহবাগ থানাধীন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার পলাশী সংলগ্ন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চৌরাস্তায় আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন। এসময় গুলিতে মনির হোসেন নিহত হন। এ ঘটনায় তার স্ত্রী রুজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৫১ জনের নামে আদালতে মামলা করেন।

ঢাকা/এম/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বোনের জন্য ভাইয়ের দেওয়া উপহার ‘স্বর্ণমোড়ানো কোরআন’ 

মুসলিমদের কাছে কোরআন হলো পবিত্র এবং সবচেয়ে উৎকৃষ্ট গ্রন্থ। ধর্মপ্রাণ মুসলিম কোরআনের প্রতি বিভিন্নভাবে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘কোরআনের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের সবচেয়ে উত্কৃষ্ট পদ্ধতি হলো, কোরআনে বর্ণিত মহান আল্লাহর নির্দেশনাগুলোর উপর আমল করা।’’

আরো পড়ুন:

ডোডো পাখিকে কী ফেরাতে পারবে বিজ্ঞানীরা?

ছোট চুলের ট্রেন্ডি ‘হেয়ার কাট’

কেউ কেউ ভালোবাসার সেরা নিদর্শন হিসেবে প্রিয়জনকে কোরআন ‍উপহার দেন। আবার কেউ কেউ কোরআন সংরক্ষণেও বিশেষ ভক্তির নিদর্শন তৈরি করেন।  অনেকে আল্লাহর পবিত্র কালামের প্রতিটি লাইনকে স্বর্ণ মুড়িয়ে সংরক্ষণ করেছেন। তেমনি একটি কোরআনের কপি পাওয়া ভারতীয় এক পরিবারের কাছে।

২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর গালফ নিউজের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ‘‘ভারতীয় একটি পরিবারের কাছে প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো স্বর্ণমোড়ানো কোরআন রয়েছে। কপিটি বর্তমানে আছে ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারিসের ঘরে।’’

গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে হারিস বলেন, ‘‘ সোনায় মোড়ানো পবিত্র কোরআনের বিশেষ পাণ্ডুলিপিটি আমার স্ত্রী আয়েশা কাসিম উপহার পেয়েছেন ২০০৯ সালে। তার বড় ভাই ইসমাইল বিন কাসিম মালয়েশিয়া থেকে বোনের জন্য উপহার হিসেবে ‘গোল্ডেন টুলিং কোরআন’ দেন।’’

তাদের তথ্যমতে, উপহারটির সঙ্গে আরও বহু নথি ছিল, যেমন মালয়েশিয়া থেকে পবিত্র কোরআনের এই বিরল পাণ্ডুলিপিটি স্থানান্তরিত করার অনুমতিপত্র। এছাড়াও ছিলো মালিকানার সনদপত্র এবং কোরআনের ইতিহাস। পাণ্ডুলিপির সঙ্গে থাকা নথিতে উল্লেখ রয়েছে যে, সোনার হরফে লেখা এই কোরআন ১৬ থেকে ১৮ শতকের মধ্যে প্রস্তুতকৃত।

ধারণা করা হয়, অটোমান সাম্রাজ্যের শাসনকালীন সময়ে আরবরা এই বিরল কোরআন চীনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর ১৯৭১ সালে এটি মালয়েশিয়ায় আনা হয়।

হারিস বলেন,  ‘‘এই বিরল কোরআন তিলাওয়াত করে আমরা শান্তি অনুভব করি।’’

বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে তার স্ত্রী-সন্তানেরা এই স্বর্ণমোড়ানো কোরআন তিলাওয়াত করতে আনন্দ পান বলেও জানিয়েছেন হরিস। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ