ময়মনসিংহে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ছাত্রদলের সাবেক এক নেতা। এতে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতাকর্মী, আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল (দ্রুত বিচার) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজমত আলী সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান মামলার আবেদনটি করেন। বিচারক মোছা.

নাসিমা খাতুন অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার জাকিবুল হাসান রনিকে প্রধান আসামি করার কথা বলা হয়েছে। মামলায় ১৩০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৭০-৮০ জনকে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন দমনে গত ৩ আগস্ট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী এবং আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। পরদিন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে তারা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু সন্তানকে হত্যার পর মেঝেতে পুঁতে রাখে বাবা

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় দুই বছরের শিশু আইয়ু্ব আলীকে শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর নিজ ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখে মানসিক ভারসাম্যহীন বাবা। এ ঘটনার পর বাবা নুরুল আমিনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার পশ্চিম ধুরাইল এলাকায় শিশুকে হত্যা করা হয়। নিহত শিশু আইয়ুব আলী ওই এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে। নুরুল আমিন ফজলু মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, অভিযুক্ত নুরুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বুধবার (১৮ জুন) বিকেল ৩টার দিকে হঠাৎ করে তিনি স্ত্রী জেসমিনকে মারধর করলে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় শিশু আইয়ুব আলী ঘরের ভিতরে ঘুমাচ্ছিলেন। এরপর নুরুল আমিন ঘরে ঢোকার কিছুক্ষণ পর বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর নুরুল আমিন আবারও ফিরে এসে ঘরে শুয়ে ছিলেন। এদিকে শিশুর দাদা বাজার থেকে এসে শিশু আইয়ুব আলীকে খুঁজতে থাকেন।

আরো পড়ুন:

পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় শ্বশুরকে হত্যা: গৃহবধূর যাবজ্জীবন

ক্ষেতে গরু যাওয়ায় মাকে মারধর, ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কোথাও খুঁজে না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় নুরুল আমিনের কাছে জানতে চান আইয়ুব আলী কোথায়? পরে নুরুল আমিন বলেন, ‘‘আইয়ুব ঘুমাচ্ছিল। পরে আমি শাবল দিয়ে তার মাথায় আঘাত করি। এতে সে ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে কোদাল দিয়ে ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুতে রাখি।’’ এ সময় তার দুটি ছাগল মেরে ঘরের মেঝের অন্য একটি জায়গায় পুতে রাখে নুরুল আমিন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১১টার দিকে ঘরের মেঝে খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করে। 

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। 

হালুয়াঘাট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জানান, অভিযুক্ত বাবা নুরুল আমিনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

ঢাকা/মিলন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাস-মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে নিহত ৫
  • ময়মনসিংহে অ্যাম্বুলেন্স-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
  • ময়মনসিংহে অ্যাম্বুলেন্স-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২
  • স্কুলব্যাগে মানুষের কঙ্কাল নিয়ে বাসে উঠছিলেন, ধরা পড়লেন তল্লাশিতে
  • ‘হার্ট অ্যাটাকে’ মৃত্যুর ১০ মাস পর গণঅভ্যুত্থানের শহীদ দাবি করে হত্যা মামলা, বেরোবি শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২
  • হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ১০ মাস পর গণঅভ্যুত্থানের শহীদ দাবি করে হত্যা মামলা, বেরোবি শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২
  • গোল্ডকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন রংপুর ও রাজশাহী
  • ভার্চুয়ালি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, ৪৪ উপজেলায় হচ্ছে পাবলিক লাইব্রেরি
  • কার কথায় ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাঙা হচ্ছে, প্রশ্ন শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাদের
  • শিশু সন্তানকে হত্যার পর মেঝেতে পুঁতে রাখে বাবা