জামায়াত নেতাসহ তিনজনকে হাত-পা-মুখ বেঁধে টাকা মোটরসাইকেল লুট
Published: 7th, May 2025 GMT
বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ তিনজনকে মারধর ও হাত-পা বেঁধে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নসরতপুর-বিহিগ্রাম সড়কের ধনতলা সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম রব্বানী, তার ছেলে মনিরুজ্জামান মারুফ (১৩) ও একই গ্রামের প্রবাসী রেজাউল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (১৯)।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি গোলাম রব্বানী ও তার ছেলে মনিরুজামান মারুফ দুপচাঁচিয়া সরদারপাড়া থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি মটপুকুর ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নসরতপুর-বিহিগ্রাম সড়কের ধনতলা গ্রামে সেতুর সামনে পৌঁছালে রশি দিয়ে তাদের পথরোধ করে ৭-৮ জন ছিনতাইকারী। তাদের মারধর করে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তার একটি মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় একই স্থানে বকুল হোসেনকে ছিনতাইকারীরা বেঁধে মারধর করে খাদে ফেলে রেখে যায়। তার কাছ থেকেও একটি মোটরসাইকেল, আইফোন, ডলার ও ৫৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। রাত ১২টা দিকে ভুক্তভোগীরা কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার করলে গ্রামবাসী এসে তাদের উদ্ধার করেন। সংবাদ পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
আদাবরে কুপিয়ে হত্যা: তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিল সেনাবাহিনী
রাজধানীর আদাবরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে রিপন সরদার (৪২) খুনের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রিপন হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইমন ওরফে ভাইগ্না ইমন ওরফে দাঁতভাঙা ইমনকে তাঁর দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেনাবাহিনী জানায়, গতকাল ভোরের দিকে রাজধানীর আদাবর থানার বালুর মাঠ এলাকায় বাসায় ঢুকে রিপন নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কিশোর গ্যাং এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। পরে আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।
৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গতকাল সকালে বালুমাঠ এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়। বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় এলেক্স সবুজ, মনির ও ইমন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে অভিযান চালিয়ে ইমন ও তাঁর দুই সহযোগীকে দুটি সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চালানোর কিছুক্ষণ আগে সবুজ ও মনির সেই জায়গা থেকে পালিয়ে যান। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। বাকিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে আদাবরের ১০ নম্বরের বালুর মাঠ এলাকায় ‘বেলচা মনির’ ও ‘রাজু গ্রুপে’র মধ্যে এ মারামারি হয়। ‘বেলচা মনিরের’ লোকজন ‘রাজু গ্রুপের’ রিপনকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন সরদারের মৃত্যু হয়।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুনআদাবরে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মারামারিতে নিহত ১১৮ ঘণ্টা আগেতবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন সরদারের ছেলে ইমন সরদার গতকাল দাবি করেন, রিপন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না। রিপন পেশায় চা–দোকানি। বেলচা মনিরের লোকজনের সঙ্গে দুই দিন আগে তাঁর বাবার কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে তাঁর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মা আরজু বেগমও আহত হয়েছেন। তাঁদের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
পুলিশের ভাষ্য, নিহত রিপন সরদার মাদক কারবারি রাজুর চাচাতো ভাই। ‘রাজু গ্রুপ’ ও ‘বেলচা মনিরের’ নেতৃত্বে আদাবরের ১০ ও ১৭ নম্বর এলাকায় মাদক ব্যবসা হয়। ওই বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। নিহত রিপনের বিরুদ্ধে ভোলায় একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।